চীনের আলিবাবার তৈরি এআই চ্যাটবট ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। অ্যাপলের জনপ্রিয় পণ্য আইফোনে ব্যবহার করা হবে এই চ্যাটবটটি। তবে অ্যাপল-আলিবাবার মধ্যকার এই চুক্তিটিকে ভালো চোখে দেখছে না মার্কিন প্রশাসন। হোয়াইট হাউজ ও মার্কিন কংগ্রেসের শীর্ষ কর্মকর্তারা এরই মধ্যে চুক্তির বিভিন্ন দিক বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছেন। গতকাল শনিবার (১৭ মে) আমেরিকান দৈনিক দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
আমেরিকান কর্তৃপক্ষের দুশ্চিন্তার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, এই চুক্তির মাধ্যমে চীনা একটি প্রতিষ্ঠান তাঁদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সক্ষমতাকে আরও উন্নত করে তুলতে সমর্থ হবে। দ্বিতীয়ত, সেন্সরশিপ সীমাবদ্ধতা সম্বলিত চীনের চ্যাটবটগুলোর ব্যাপ্তি আরও বাড়বে, আরও বেশি ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে যাবে।
তৃতীয়ত, সেন্সরশিপ ও ডেটা শেয়ারিং ইস্যুতে বেইজিংয়ে বিদ্যমান আইনের অধীনস্থ হতে হবে অ্যাপলকে। বিষয় সম্পর্কে অবগত তিনজন ব্যক্তির বরাত দিয়ে এভাবেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তরফ থেকে অনুরোধ করা স্বত্বেও অ্যাপল ও আলিবাবা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপলের সাথে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে আলিবাবা। এই চুক্তির অধীনে চীনের বাজারে আইফোনে এআই সার্ভিস প্রদান করবে আলিবাবার তৈরি এআই প্রযুক্তি। চীনের প্রতিযোগিতামূলক এআই’র বাজারে অ্যাপলের সাথে চুক্তিটি আলিবাবার জন্য বিশাল এক অর্জন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে চীনের এআই প্ল্যাটফর্ম ডিপসিক বিশ্বজুড়ে রীতিমতো আলোড়ন তৈরি করে। ইউরোপ-আমেরিকার এআই চ্যাটবটগুলোর ভগ্নাংশ পরিমাণ খরচে তৈরি করা হয়েছে ডিপসিক এআই অ্যাসিসট্যান্টের দুটি মডেল। ডিপসিকের কল্যাণে চীনে এআই খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এমনকি চীনের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এআই নিয়ে কোর্সও চালু করা হয়েছে ডিপসিকের প্রভাবে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স