কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে ইউরোপের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে পড়ছে ইতালি। আজ বুধবার দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো আইএসটিএটি কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনই এক চিত্র ফুটে উঠেছে।
আইএসটিএটি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বর্তমানে ইতালি’তে মাত্র ৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। অথচ জার্মানি’তে সংখ্যাটা ২০ শতাংশ। এছাড়া ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করতে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক দক্ষতায়ও ইউরোপের উন্নত প্রতিবেশীদের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে ইতালীয়রা।
২০২৩ সালের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৬ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের মধ্যে মাত্র ৪৫.৮ শতাংশ ইতালীয়র বেসিক ডিজিটাল দক্ষতা রয়েছে। অর্থাৎ, দেশটির অর্ধেক জনগোষ্ঠীরও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা নেই। অথচ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর গড় হচ্ছে ৫৫.৫ শতাংশ, যেটা ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা এগোচ্ছে।
শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ইতালির দক্ষিণাঞ্চল এবং সিসিলি ও সার্ডিনিয়াতে ডিজিটাল দক্ষতার হার আরও কম, মাত্র ৩৬.১ শতাংশ।
অর্থনৈতিক মন্দা, কর্মক্ষম লোকের অভাব এবং শিক্ষিত তরুণদের দেশত্যাগের প্রবণতা- এই প্রেক্ষাপটে ইতালির জন্য সময়টা বেশ চ্যালেঞ্জিং। আইএসটিএটি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ২১ হাজার স্নাতক ডিগ্রীধারী ইতালীয় দেশ ছেড়ে গেছে, সংখ্যাটা আগের বছরের তুলনায় ২১.২ শতাংশ বেশি। এভাবে দশ বছরে ৯৭ হাজারেরও বেশি দক্ষ কর্মী হারিয়েছে দেশটি।
প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি’র সরকার গত মাসেই চলতি বছরের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সেপ্টেম্বরের ১.২ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ ধার্য করেছে। আমেরিকার শুল্কনীতির প্রভাবে সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় প্রেক্ষাপটে সরকার এমন সিদ্ধন্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইতালির অর্থনীতি এর আগের প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স