আইফোন নির্মাতা অ্যাপল এবার এআই প্রতিষ্ঠান পারপ্লেক্সিটি কেনার কথা ভাবছে। তবে শুধু ভাবনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই তাঁরা। ইতোমধ্যেই আভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা শুরু করেছে অ্যাপল। অবশ্য এআই সক্ষমতার সার্চ ইঞ্জিনটি কেনার বিষয়ে আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে। বিষয় সম্পর্কে অবগত কয়েক জন ব্যক্তির বরাত দিয়ে শুক্রবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ নিউজ।
প্রতিবেদন বলছে, অ্যাপল কর্তারা পারপ্লেক্সিটি কেনার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সবেমাত্র শুরু করেছেন। এখনও তাঁরা অধিগ্রহণের বিষয়টি পারপ্লেক্সিটিকে জানাননি এবং স্বাভাবিকভাবেই অ্যাপলের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাবও দেওয়া হয়নি তাঁদেরকে।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তরফ থেকে জানতে চাইলে পারপ্লেক্সিটি জানায় যে, বর্তমানে বা ভবিষ্যতে পারপ্লেক্সিটির সাথে একত্রীকরণ বা অধিগ্রহণ সম্পর্কিত কোনো আলোচনা সম্পর্কে তাঁদের কোনো ধারণা নেই। একইভাবে অ্যাপলের কাছে জানতে চেয়েও কোনো প্রত্যুত্তর পায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে পারপ্লেক্সিটি অধিগ্রহণ করার চেষ্টা করেছিল মার্ক জাকারবার্গের মেটাও। সেবারও ব্লুমবার্গ নিউজই বিষয়টি সামনে এনেছিল।
এআই প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন টুল, ফিচার ও সেবার জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়েই বাড়ছে। আর তাই শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের এআই সক্ষমতা বাড়াতে এ খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে চলেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ক্রমপরিবর্তনশীল এআই প্রযুক্তির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর চেষ্টার কোনো কমতি নেই।
এ লক্ষ্যে বিগ টেক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শই ছোট ছোট এআই স্টার্টআপগুলোকে অধিগ্রহণ করে থাকে। এই যেমন সম্প্রতি মেটা ১৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তিতে ডেটা লেবেলিং স্টার্টআপ স্কেল এআই-কে কিনে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, স্কেল এআই’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্ডার ওয়াংকে মেটা তাঁদের নতুন ‘সুপারইন্টেলিজেন্স এআই’ ইউনিটের প্রধান হিসেবে নিয়োগও দিয়েছে।
পারপ্লেক্সিটি’র এআই চালিত সার্চ ইঞ্জিনকে অ্যাপল তাঁদের সাফারি ওয়েব ব্রাউজারে সমন্বয় করার পরিকল্পনা করছে। সেক্ষেত্রে গুগলের সাথে তাঁদের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্বের সম্পর্কের অবসান হতে পারে।
তবে পারপ্লেক্সিটি-কে অধিগ্রহণ করতে হলে রেকর্ড পরিমাণ খরচ করতে হবে অ্যাপল। তাঁদের সর্বশেষ বিনিয়োগ উত্তোলনের রাউন্ডে পারপ্লেক্সিটি’র বাজারমূল্য ধার্য করা হয়েছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার। এর কাছাকাছি অঙ্কের অর্থও যদি অ্যাপলকে খরচ করতে হয় তাহলে পারপ্লেক্সিটি হবে তাঁদের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অধিগ্রহণ।
তথ্যসূত্র: ব্লুমবার্গ নিউজ, রয়টার্স