গবেষকেরা একসময় ডাইনোসরকে শীতল রক্তের প্রাণী বলে মনে করতেন। তবে ২০২০ সালের দিকে এক গবেষণায় দাবি করা হয় ডাইনোসরের রক্ত ছিল উষ্ণ। ডাইনোসরের ডিমের জীবাশ্ম পরীক্ষা করে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এ তথ্য জানায়। গবেষণাপত্রটি জার্নাল অব সায়েন্স অ্যাডভান্সেসে প্রকাশিত হয়েছিল।
এবার নতুন একটি গবেষণায় দাবি করা হয়, উষ্ণ রক্তের ডাইনোসরেরা প্রায় ১৮ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বিচরণ করত। গবেষণাপত্রটি গত বুধবার ‘কারেন্ট বায়োলজি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, কবে প্রথম উষ্ণ রক্তের ডাইনোসর আবির্ভূত হয়েছিল সে সর্ম্পকে জানতে গবেষকেরা ১ হাজারের বেশি জীবাশ্ম, জলবায়ু মডেল এবং ডাইনোসরের বংশগতি নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষকেরা টাইরানোসরাস রেক্স, ভেলোসিরাপ্টর এবং ট্রাইসেরাটোপসের জ্ঞাতিসহ ডাইনোসরের দুটি প্রধান গোষ্ঠী খুঁজে পান। গবেষকদের ধারণা, আরলি জুরাসিক পিরিয়ডে এই ডাইনোসরেরা শীতল এলাকায় চলে গিয়েছিল, যা তাদের উষ্ণ থাকার ক্ষমতা অর্জন করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ব্রন্টোসরাস গোষ্ঠীর একদল ডাইনোসর গরম এলাকাতেই অবস্থান করেছিল বলে মনে করা হয়।
এই গবেষণার অন্যতম লেখক আলফিও আলেসান্দ্রো চিয়ারেঞ্জা জানান, যদি কোনো জিনিস আর্কটিকে বা খুব ঠান্ডা অঞ্চলে বাস করতে সক্ষম হয়, তবে অবশ্যই এর শরীর গরম রাখার কিছু উপায় থাকতে হবে।
এর আগে ২০২০ সালের গবেষণায় দেখা যায়, ডাইনোসরদের দেহের তাপমাত্রা পারিপার্শ্বিকের তাপমাত্রার তুলনায় বেশি। অন্যান্য সরীসৃপরা যেখানে উষ্ণতার জন্য পারিপার্শ্বিকের ওপর নির্ভরশীল, সেখানে ডাইনোসররা নিজেরাই দেহের ভেতর থেকে তাপ উৎপাদন করতে সক্ষম ছিল। তবে বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে এই উষ্ণতার মাত্রায় তারতম্য ছিল বলে জানান গবেষকেরা।