মহাকাশে উন্মুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশের নতুন সম্ভাবনা। ৫৪তম দেশ হিসেবে নাসার সঙ্গে গত মঙ্গলবার চুক্তি সই হয়েছে। এর ফলে, মহাকাশ থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষা, প্রযুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক গবেষণার তথ্য-উপাত্ত পাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে নাসার আর্টেমিস অ্যাকর্ডসে যুক্ত হয় বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে ভেসে উঠে লাল-সবুজের পতাকা।
নাসা বলছে, বাংলাদেশের সঙ্গে এই চুক্তির ফলে মহাকাশ গবেষণা পাবে নতুন মাত্রা। আর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) বলছে, এর মধ্য দিয়ে মিলবে নাসার বিশাল তথ্য-ভাণ্ডারে প্রবেশের সুযোগ।
স্পারসোর সদস্য প্রযুক্তি ড. মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘স্পেস এক্সপ্লোরেশন, কোনো স্পেসিমেন থাকলে সেগুলো কালেক্ট করা এবং স্পেস সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য যেমন ডেব্রিস থেকে শুরু করে ভবিষ্যতে যে গবেষণা কাজ হবে এর মাধ্যমে, সেখানে আমরা সরাসরি সংযুক্ত থাকতে পারব।’
স্পারসোর কর্মকর্তারা বলছেন, এতে বাড়বে গবেষণাধর্মী কাজ।
ড. মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা আগে, স্পারসো তো বেসিক্যালি স্যাটেলাইট স্পেসিফিকেশন নিয়েই আমরা কাজ করতাম, এখন মহাকাশ গবেষণার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়ত আমরা মহাকাশ গবেষণা বা অন্যান্য টেকনোলজি রিসার্চ নিয়ে কাজ করব এবং এটার মাধ্যমে সেটার দিগন্ত আরও উন্মোচিত হবে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, আর্টেমিস অ্যাকর্ডসে যুক্ত হওয়ায় জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের তথ্য পাওয়াও হবে সহজ।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘স্পেসের ডেটা কিন্তু খুবই এক্সপেনসিভ। মাঝখানে যদি একটা স্যাটেলাইট না থাকে তাহলে সেই ডেটা পাওয়া কিভাবে সম্ভব? এটা আমরা পেতে যাচ্ছি এবং এই দ্বারটা আমাদের উন্মুক্ত হচ্ছে। আর্থিকভাবে কতটা লাভ হবে সেটা আমি জানি না কিন্তু এই ডেটার মূল্যায়ন খুবই কঠিন। আবহাওয়া বলেন বা নেভিগেশন বলেন, সব জায়গায় আমাদের স্পেস থেকে ডেটা লাগবে।’
তবে, এর পূর্ণ ফল পেতে আরও ১৫ থেকে ২০ বছর লাগবে বলে জানান বিডার চেয়ারম্যান।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, ‘এই অ্যাকর্ডটা সাইন করার ইফেক্ট বুঝতে হয়ত আমাদের ১৫–২০ বছর সময় লাগবে। ২০ বছর পরে হয়ত, আমরা যে স্পেস এক্সপ্লোরেশনের কথা বলি, সেখানে হয়ত বাংলাদেশিরাও যাবে। আমাদেরও হয়ত একজন অ্যাস্ট্রোনট থাকবে।’
প্রাথমিকভাবে ৭ দেশ সই করার মধ্য দিয়ে অ্যাকর্ডসের যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালে।