ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স তাঁদের স্টারশিপ মহাকাশযানের অষ্টম পরীক্ষামূলক ফ্লাইটটি বাতিল করেছে। সোমবার (৩ মার্চ) স্পেসএক্স-এর টেক্সাস উৎক্ষেপণ সাইট থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর কয়েক সেকেন্ড আগেই রকেটটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ বাতিল করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি স্পেসএক্স।
সোমবার পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রা করতে না পারলেও বুধবার (৫ মার্চ) টেক্সাসে অবস্থিত স্পেসএক্সের স্টারবেজ ফ্যাসিলিটি থেকেই রকেটটি উৎক্ষেপণের কথা জানিয়েছে স্পেসএক্স। এবারের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে প্রথমবারের মতো স্টারলিংকের ডামি (নকল) স্যাটেলাইট পাঠাতে চলেছে স্পেসএক্স। তাই স্বাভাবিকভাবেই এবারের উৎক্ষেপণটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সোমবার উৎক্ষেপণের পূর্বে যথারীতি ৪০ সেকেন্ডের কাউন্ডডাউন শুরু হয়। কাউন্ডডাউন চলাকালেই গ্রাউন্ড স্টেশনের ইঞ্জিনিয়াররা কোনো ত্রুটি বা সমস্যা শনাক্ত করেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিত রাখেন তাঁরা। এরপর উৎক্ষেপণটি বাতিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় স্পেসএক্স। তবে উদ্ভূত সমস্যা বা ত্রুটি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানায়নি মাস্কের প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি’তে স্টারশিপ রকেটের সর্বশেষ (সপ্তম) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণটিও সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি স্পেসএক্স। উৎক্ষেপণের ৮ মিনিটের মাথায় স্টারশিপ রকেটের ওপরের মূল অংশটি (যার নামও স্টারশিপ) ক্যারিবীয় সাগরের ওপরে বিধ্বস্ত হয়। এর ফলে টার্কস ও কাইকোস দ্বীপপুঞ্জে আগুনের ধ্বংসাবশেষ বৃষ্টির মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে, যেটা পরবর্তীতে সরকারি তদন্তের সূত্রপাত ঘটায়।
স্পেসএক্সের তৈরি স্টারশিপ রকেট বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী রকেট হিসেবে বিবেচিত। স্টারশিপ রকেট সিস্টেমের দুটি অংশ। ওপরের অংশটি হচ্ছে স্টারশিপ মহাকাশযান এবং নিচের অংশটি সুপার হেভি বুস্টার। বুস্টারের কাজ হচ্ছে মূল মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে পৃথিবীতে ফিরে আসা। বুস্টার থেকে আলাদা হওয়ার পর মূল স্টারশিপ মহাকাশযানটি বিভিন্ন পেলোড নিয়ে মহাকাশে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়। স্টারশিপ রকেটের বাণিজ্যিক ব্যবহার শুরু করার উদ্দেশ্যে বর্তমানে এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ পরিচালনা করছে স্পেসএক্স।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স