উরুগুয়ের জমাট রক্ষণ ভাঙার চ্যালেঞ্জ ফ্রান্সের

কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। আসরে মাত্র এক গোল হজম করা প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ শুরু করেছেন কোচ দিদিয়ের দেশম। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখছে ফ্রান্স স্কোয়াড। এমবাপে-গ্রিজমান-জিরুকে নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ গড়ে দেবে ম্যাচের ভাগ্য, আশা রামি-মাতুইদিদের।

বাবা ক্যামেরুন, মা আলজিরিয়া থেকে এলেও এমবাপের জন্ম ফ্রান্সেই।

২৩ সদস্যের ফ্রান্স স্কোয়াডে এমবাপেসহ ১৫ জনই আফ্রিকান অথবা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। আলজিরিয়া, ক্যামেরুন, কঙ্গো, সেনেগাল, নাইজিরিয়া থেকে আসা ফুটবলারদের হাতেই এখন ফরাসি পতাকা।

১৯৯৮-এর পর আবারও সোনালি ট্রফি-টা ছুঁয়ে দেখার সুযোগ দিদিয়ের দেশমের। গুরু হিসেবে দেশম এখন পর্যন্ত একশোতে-একশো। গ্রিজম্যান-জিরু-পগবার মত ম্যাচ উইনার আছে স্কোয়াডে। তবে ঘুরে ফিরে একজনই এখন স্পটলাইটে। প্রতিপক্ষের চিন্তাও ওই এমবাপেকে নিয়ে। এই টিনেজ সেনসেশনে মুগ্ধ সতীর্থরাও।

ফ্রান্সের ডিফেন্ডার আদিল রামি বলেন, এমবাপে টেকনিক্যালি অনেক দক্ষ ও প্রতিভাশালি। আমি মনে করি ও বিশ্বের যেকোনো ডিফেন্স ভাঙার সামর্থ্য রাখে। কিলিয়ান যখন তিন-চার মিটার বল নিয়ে দৌড়ানো শুরু করে, তখন ওকে আটকানো প্রতিপক্ষের জন্য খুবই কঠিন।

বিশ্বকাপে চার ম্যাচে উরুগুয়ের জালে এক গোল। গদিন-গিমিনেজ-ল্যাকসল্টদের নিয়ে জমাট রক্ষণ আসর সেরা। লা সেলেস্তদের রক্ষণদূর্গ ভাঙতে হবে গ্রিজম্যান-জিরুদের।

ফ্রান্সের মিডফিল্ডার মাতুইদি বলেন, বিশ্বকাপে উরুগুয়ে মাত্র এক গোল হজম করেছে। এ থেকেই প্রমাণিত ওদের রক্ষণ কতটা জমাট। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আক্রমণভাগে জিরু-এমবাপেরা ওদের কঠিন পরীক্ষা নেবেন।

চোটে পড়া কাভানিকে নিয়ে শঙ্কায় উরুগুয়ে। পিএসজি তারকাকে ছাড়া ওদের আক্রমণভাগ শক্তি হারাবে, বিশ্বাস লা ব্লু-দের । তবে সুয়ারেসকে নিয়ে সতর্ক ফ্রান্স ডিফেন্স।


/এম-আই/