সেমিফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স-বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড

রাশিয়া আসরে ফেভারিট তকমা কাজ করেনি। একে একে বিদায় নিয়েছে আফ্রিকা, এশিয়া আর ল্যাটিন আমেরিকান প্রতিনিধিরা। শেষ চারে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুধু ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে। ১০ জুলাই প্রথম সেমিতে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম। একদিন পর ক্রোয়েশিয়া লড়বে ছেষট্টির পুনরাবৃত্তির স্বপ্নে বিভোর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

রাশিয়ার অভূতপূর্ব বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়ে হয়েছে পেনাল্টি শ্যুট আউট দুর্ভাগ্যে। আকিনফিভ জাদু এবার আর কাজ করেনি। স্বাগতিকদের বিদায়ের পরই চূড়ান্ত হয়ে গেছে শেষ চারের লাইন আপ।

আর্জেন্টিনা বধের পর উরুগুয়ে। ইউরোপিয়ান আধিপত্য নিশ্চিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব ফ্রান্সের। এমবাপের গতি অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছে গ্রিজমানের শিল্পিত ছোঁয়ায়। শেষ চারে লা ব্লুজের সামনে এবার ছন্দে থাকা বেলজিয়ান অর্কেস্ট্রা।

ব্রাজিলকে হারিয়ে ল্যাটিন অ্যামেরিকা মুক্ত বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে বেলজিয়াম। বত্রিশ বছর পর পাওয়া শেষ চারের সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া রেড ডেভিলস। লুকাকুকে সামনে রেখে নেপথ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন অ্যাজার্ড। সব্যসাচী ডি ব্রুইনাতে আর দুর্ধষ মার্তিনেজের রন কৌশল।

গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে খেলার ধরণে পরিবর্তন আনলেও ঐতিহ্য ভোলেনি ইংল্যান্ড। প্রেসিং ফুটবলে আধিপত্য দেখালেও মূল শক্তি সেট পিসে। আসরে ইংলিশদের ১১ গোলের ৮ টিই এসেছে সেট পিস থেকে। ৬ গোল নিয়ে গোল্ডেন বুটের খুব কাছে হ্যারি কেইন। আভাস দিচ্ছেন ছেষট্টির পুনরাবৃত্তির।

৯৮ এর পর নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত শেষ চারে খেলার সুযোগ ক্রোয়েশিয়ার। ডার্ক হর্স হিসেবে শুরু করলেও ক্রমশ ধারণা দিয়েছে শক্তির গভীরতা সম্পর্কে।

সুনির্দিষ্ট কোন তারকায় নির্ভরতা নয়, দল হিসেবে খেলেই অপ্রতিরোধ্য দালিচের শিষ্যরা। আসরে মোট ১০ গোল করেছেন দলের ৮ ফুটবলার মিলে। স্কিলের পাশাপাশি নার্ভের লড়াইতেও অদম্য দ্য ব্লেজার্স। ৯০ এর পর প্রথম কোন দল হিসেবে জিতেছে দু দুটি পেনাল্টি শ্যুট আউট চ্যালেঞ্জ।

/এইচ.এ/