নিজের চেয়ে শীষ্যদের অর্জন বড় করে দেখছেন দেশম

নিজের চেয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পেছনে শীষ্যদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের চেয়ে কোচ হিসেবে এই অর্জনকে বড় করে দেখছেন তিনি। অন্যদিকে, আগের ম্যাচগুলোর তুলনায় ফাইনালে সেভাবে খেলতে পারেনি বলেই মনে করেন জ্লাতকো দালিচ। মদ্রিচ সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় গর্বিত তিনি।

ফাইনালের মতো ম্যাচ শেষে দুই দলের কোচ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন সেটাই স্বাভাবিক ঘটনা। বিশ্বকাপজয়ী কোচ দিদিয়ের দেশমও শুরু করবেন, এমন সময় ঘটে সেই অস্বাভাবিক ঘটনাটি। পুরো দল প্রেস কনফারেন্স রুমে এসে শুরু করলো হই হল্লা। শুধু কি তাই? রীতিমতো পাগলামি শুরু করলেন এমবাপে-পগবারা।

কিছুক্ষণ আগে সবচেয়ে মূল্যবান ট্রফিটি যে ঘরে এসেছে। তাই এই পাগলামিও খুব স্বাভাবিক মনে হল সবার কাছে।

ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম বলেন, আমরা বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন। এটাই সবাই মনে রাখবে। একটা তরুণ দল পেয়েছিলাম। ওরা দারুণ খেলেছে। আমি ওদের বলেছি, কখনো হাল ছেড়োনা। এর ফল দেখতেই পাচ্ছেন। ওরা খুশিতে পাগল হয়ে গেছে। আমরা খুব বড় কিছু করিনি। গত কিছুদিন ধরে ওরা মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়েছে। সেটারই ফল এই চার গোল।

২০ বছর আগের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক ছিলেন দেশম। এবারে তার ছোঁয়ায় একদল তরুণ দেশকে দ্বিতীয়বার উৎসবে মাতার সুযোগ করে দিলেন। অবশ্য নিজের অর্জনের চেয়ে শীষ্যদের অর্জনই বেশি মূল্যবান দেশমের কাছে।

ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম আরো বলেন, এটা সত্যিই অসাধারণ অনুভুতি। তবে, এটা আমার ব্যক্তিগত অর্জন। আমি এখন ছেলেদের নিয়ে গর্বিত। ওদের সবাই খুব ভাল খেলেছে। এমবাপের কথাই ধরুণ। মাত্র ১৯ বছর বয়স। ও একটা বিশ্বকাপ জিতেছে। ভবিষ্যতে আরো সম্ভাবনা আছে। দলটা সেরকমই। ২০ বছর আগের দলটা আর বিশ্বকাপ জেতেনি। কিন্তু এই দলটাকে আমি আবারো এভাবে দেখতে চাই।

ছয় ম্যাচ দারুণ খেলার পর ফাইনালে খেই হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। দালিচ অবশ্য হতাশ নন। দুটো গোল নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সে নিয়ে রেফারিকে দোষ দিতে চান না তিনি।

ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাতকো দালিচ বলেন, আমি ফ্রান্সকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা প্রথম ২০ মিনিট ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলেছি। এরপর দুটো গোলে পিছিয়ে পড়েছি। আমি রেফারিং কিছু বলবো না। তবে, ফাইনালের মতো একটা ম্যাচে ওরকম পেনাল্টি দেয়া উচিত নয়। আমরা প্রথম ছয় ম্যাচে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছি। আজ হয়নি। ছেলেদের অভিনন্দন জানাবো ওরা ভাল খেলেছে। খারাপ লাগছে, তবে ফাইনাল খেলতে পেরে গর্বিত। মদ্রিচের জন্যও আমি গর্বিত।

ফ্রান্স দলের জন্য দেশে লাখো সমর্থকের উৎসব অপেক্ষা করছে। ক্রোয়েশিয়াতেও অবশ্য উষ্ণ অভ্যর্থনাই পাবেন মদ্রিচরা।


/এম-আই/