বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে লিভারপুল

আবারো অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালো লিভারপুল। তিন গোলের ব্যবধান ঘুচিয়ে বার্সেলোনাকে হারিয়ে, চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল নিশ্চিত করলো অল রেডরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে জিতে ফাইনালে উঠলো ক্লপের দল। সালাহ-ফিরমিনোদের শূন্যতায় জোড়া গোল করেছেন অরিগি ও ভাইনালডাম।

ঠিক যেন গেলো মৌসুমের পুনরাবৃত্তি। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল রোমা আর এবার লিভারপুল। পরপর দুবার একই পরিণতি হলো বার্সেলোনার। প্রথম লেগ জয়ে নির্ভার বার্সা দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলের কাছে হারে ৪-০ গোলে। অ্যানফিল্ডে কাতালানদের ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে, ইতিহাস গড়লো লিভারপুল।

ইনজুরির কারণে একাদশে না থাকলেও মাঠে ছিলেন সালাহ। নেভার গিভ আপ টি শার্ট পড়ে গ্যালারিতে বসে উৎসাহ যুগিয়েছেন সতীর্থদের।

কঠিন লক্ষ্যে শুরুটা দারুণ লিভারপুলের। সালাহ-ফিরমিনোর ইনজুরিতে সুযোগ পেয়ে কোচের দুশ্চিন্তা দূর করেন ডিভোক অরিগি। ৭ মিনিটে বেলজিয়ান স্ট্রাইকারের গোলেই ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখে স্বাগতিকরা।

মেসি-সুয়ারেজদের চেষ্টা বারবারই আটকে গেছে ডি-বক্সে। উল্টোদিকে, টার স্টেগেনের দৃঢ়তায় বার কয়েক রক্ষা ব্লু-গ্রানাদের। সময় গড়িয়েছে, উত্তাপ ছড়িয়েছে গ্যালরিতে। বিরতির আগে এক গোলেই লিড অলরেডদের।

দুর্দান্ত ডিফেন্সে নড়ার সুযোগ পাননি মেসি, কড়া মার্কিংয়ে সুয়ারেজ। ডিফেন্স ভেঙ্গে সুযোগ তৈরি হলেও জালের ঠিকানা পায়নি বার্সা।

দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র দুমিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড সব। বার্সা ডিফেন্সকে বোকা বানিয়ে পরপর দুগোল করে হিসাব বরাবর করেন ভাইনালডাম। মেসির চোখে রাজ্যের হতাশা। আর ঐতিহাসিক জয়ের গন্ধে মাতোয়ারা লিভারপুল গ্যালারি।

শেষ পর্যন্ত ৭৯ মিনিটে স্বপ্ন পূরণ হয় ক্লপের শিষ্যদের। ম্যাজিক্যাল অরিগি জোড়া পূরণে করলে গত মৌসুমে ঘরের মাঠে ম্যান সিটিকে হারানোর সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনে লিভারপুল।

এ নিয়ে টানা ছয় মৌসুমে নকআউট পর্বে অ্যাওয়ে ম্যাচে হেরে বিদায় নিলো বার্সেলোনা। আগের পাঁচ মৌসুমে তারা রোমা, পিএসজি, ইউভেন্তুস, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরেছিল।

অবিশ্বাস্য জয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে উঠলো লিভারপুল। ১ জুন মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে ডাচ চমক আয়াক্স কিংবা টটেনহামের বিপক্ষে লড়বে অলরেডরা।

/এম-আই/