লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়

টটেনহ্যামকে ফাইনালে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে নিলো লিভারপুল। অলরেডদের সাফল্য এসেছে মোহাম্মদ সালাহ ও দিভোক ওরিগির গোলে। ইউরোপ শ্রেষ্ঠতের লড়াইয়ে প্রথমবার ফাইনাল খেলা টটেনহ্যাম, ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি পচেত্তিনোর শিষ্যরা। মৌসুম জুড়ে দারুন ছন্দে থাকা লিভারপুল শ্রেষ্ঠতের স্বাক্ষর রেখে গেলো।

মাদ্রিদের রাত আলোকিত হলো লিভারপুলের বিজয়োল্লাসে। সালাহ-মানে-ফিরমিনোরা দীর্ঘ ১৪ বছর পর লিভারপুলকে এনে দিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি। শিরোপার খরা কাটিয়ে, অলরেডদের হয়ে ইউরোপ সেরার স্বীকৃতি পেলেন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।

ফাইনালের শুরুটাই ছিল টটেনহ্যামের জন্য দুর্ভাগ্যের। মাত্র ২১ সেকেন্ডের মাথায় ডি-বক্সে হ্যান্ডবল থেকে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। রেডদের এগিয়ে দিতে ভুল করেননি মোহাম্মদ সালাহ। গতবারের ফাইনালে চোটের কারণে খেলতে পারেননি। এবার করলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ২য় দ্রুততম গোল।

এরপর ম্যাচ গড়ালেও, দু'দলের খেলায় ছন্দের অভাব ছিল। প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলা টটেনহ্যাম প্রথমার্ধে জোরালো আক্রমণ গড়তে পারেনি। বিরতির পর এসে ধার বাড়ায় পচেত্তিনোর শিষ্যরা। তবে লিভারপুল গোলক্ষক আলিসনের দৃঢ়তায় গোল হয়নি।

ফিরমিনোর বদলি নামা ওরিগি স্পার্সদের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকেন। ৮৭ মিনিটে গোল করে টটেনহ্যামকে ছিটকে দেন ফাইনাল থেকে। এর আগে সেমিতে, বার্সেলোনার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়েও ভূমিকা ছিল ওরিগির। শেষ গোলটি ছিল এই বেলজিয়াম ফরোয়ার্ডের।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দু'বারসহ ৬ প্রতিযোগিতার ফাইনালে হারেন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। সপ্তমবারে এসে অবশেষে পেলেন সাফল্যের দেখা। লিভারপুলের হয়ে জিতলেন নিজের প্রথম শিরোপা।



//এম-এম//