পাকিস্তান দলের অস্ট্রেলিয়া সফর মানেই যেন একেকটি হারের গল্প। ফরম্যাটটি টেস্ট ক্রিকেট হলে তো কথাই নেই। জয় নামক শব্দটি তখন ভুলে যায় পাকিস্তান। দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে জয়ের দেখা পায় না দলটি।
সবশেষ সেই ১৯৯৫ সালে মুশতাক আহমেদের ঘূর্ণি জাদুতে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট জিতেছিল পাকিস্তান। এবার ব্যর্থ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান দলকে ঢেলে সাজিয়েছে পিসিবি। তবুও তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান।
সিডনিতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ দিনেই ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে শান মাসুদের দল। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ আগেই খুইয়েছিল পাকিস্তান। এবার হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন ছিল বাবর আজমদের সামনে। আমের জামালের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত হেরেছে সফরকারীরা।
হোয়াইটওয়াশ হওয়ার মাধ্যমে পাকিস্তান গড়েছে বিরল এক রেকর্ড। একটি দেশে টানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট হারের লজ্জার রেকর্ড এখন পাকিস্তানের। এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় টানা ১৭ টেস্টে হেরেছে এশিয়ার দলটি। এমন রেকর্ড টেস্টের ইতিহাসে আর কারও নেই।
এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর আক্ষেপে পুড়ছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ ও টিম ডিরেক্টর মোহাম্মদ হাফিজ। তার মতে পাকিস্তানের এমন ফলাফল প্রাপ্য নয়। ম্যাচ শেষে হাফিজ বলেন, ‘দল হিসেবে কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলাম আমরা, যা কাজে লাগাতে পারিনি। ৩-০ তে সিরিজ হার আমাদের প্রাপ্য ছিল না। দল হিসেবে এই সিরিজে সত্যিই কিছু ভালো কাজ করেছি, কিন্তু ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো কাজে লাগাতে পারিনি, সে কারণে ৩-০ তে হেরেছি।’
‘সিডনিতে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, যেগুলো আমাদের কাজে লাগানো উচিত ছিল, কারণ ওই মুহূর্তগুলো ব্যবধান গড়ে দিতে পারত। বিশেষ করে,মেলবোর্নে তাদের (অস্ট্রেলিয়া) যখন ১৬ রানে ৪ উইকেট পড়েছিল। পরিস্থিতি এমনও হতে পারত, যেখানে আমাদের মাত্র ১৪০-১৫০ রান তাড়া করতে হতো, কিন্তু সেটি ৩০০ পেরিয়ে যায়।’-আরও যোগ করেন হাফিজ।
সিরিজ জুড়েই ব্যর্থ ছিল পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটাররা, সেই সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও একাধিক সুযোগ হাতছাড়া করেছে সফরকারীরা। সব মিলিয়ে ব্যর্থ এক টেস্ট সিরিজ কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী দেশ নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে পাকিস্তান। যেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নতুন চ্যালেঞ্জের অপেক্ষায় শাহিন শাহ আফ্রিদিরা।