৫৩১ রানে অলআউট হওয়ার পথে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার ১১ জন ব্যাটসম্যানই নেমেছেন ব্যাট করতে, ছয়জন পঞ্চাশ পেরিয়েছেন। কুশল মেন্ডিস ৯৩ রান করে থেমেছেন, দিমুথ করুনারত্নে আটকে গেছেন ৮৬তে। অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভাও আটকে গেছেন ৭০ রানে।
শ্রীলঙ্কা ইনিংসের শেষদিকে তাই একটু উত্তেজনা ছড়াল। কামিন্দু মেন্ডিস ৭০ পেরিয়ে গেছেন, কিন্তু অন্য প্রান্তে শেষ ব্যাটসম্যান আসিথা ফার্নান্দো। কামিন্দু কি পারবেন?
তাইজুল ইসলামকে দুই ছক্কা মেরে খুব কাছে চলে গেলেন। কিন্তু ওভারের শেষ বলে রান নিতে চেয়েও পারলেন না, বল বোলার তাইজুলের কাছে। অন্যদিকে আসিথা বেরিয়ে যাওয়ায় হয়ে গেলেন রানআউট। ৯২ রানে অপরাজিত থাকলেন কামিন্দু। প্রতিপক্ষের কাউকে সেঞ্চুরি করতে না দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা থাকলে, তাতে সফল বাংলাদেশ।
প্রতিপক্ষের কারও সেঞ্চুরি না হলেও, বাংলাদেশের তিন স্পিনারের অবশ্য ‘সেঞ্চুরি’ হয়েছে। কোনো উইকেট না পাওয়া তাইজুল দিয়েছেন ১০৬ রান। দশম ব্যাটসম্যান লাহিরু কুমারা মারতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন মিরাজের বলে। এর আগে বাংলাদেশি অফ স্পিনার দিয়েছেন ১৪৬ রান। একমাত্র স্পিনার হিসেবে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের আউট করতে পারা সাকিব ১১০ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট।
চট্টগ্রামে এমনই রানবন্যা হয়েছে। তাতে উইকেটের যেমন অবদান আছে, বাংলাদেশের ধারহীন স্পিনারদের যেমন ভূমিকা আছে, দায় আছে ফিল্ডারদেরও। দুই দিনে ছয়টি ক্যাচ ফেলেছেন ফিল্ডাররা। শ্রীলঙ্কান দুই ব্যাটসম্যান রানআউট না হলে হয়তো দ্বিতীয় দিনেও ব্যাট করার সৌভাগ্য হতো না বাংলাদেশের।
ফিল্ডারদের কারণেই, ভালো বল করেও মাত্র ১ উইকেট নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন খালেদ আহমেদ। হাসান মাহমুদ পেয়েছেন দুই উইকেট।
ওদিকে আসিথা রানআউট হয়ে যয়ায় একটি বিশ্বরেকর্ড একেবারে নিজস্ব করে পেলেন না কামিন্দু। টেস্টে এখন পর্যন্ত চার ইনিংস ব্যাট করে পঞ্চাশের নিচে থামেননি তিনি। ৪ ইনিংস শেষে টেস্টে তাঁর রান ৪১৯। টেস্টে এর আগে নিজের প্রথম ৪ ইনিংসে ৪১৯ রান তুলে রেকর্ড গড়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। আজ থেকে সে রেকর্ডে থাকছেন কামিন্দু মেন্ডিসও।