ম্যাচের আগে কেউ হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি এমন কিছু ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কন্ডিশন যত অচেনাই হোক না কেন, বাংলাদেশেরই তো জয় পাওয়ার কথা।
বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য, কদিন পর টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির দুই যুগ পূর্ণ হবে। সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেড় দশক কাটিয়ে দেওয়া সব ক্রিকেটার। এমন দল পুঁচকে আমেরিকার কাছে হারে কীভাবে?
কিন্তু সেটাই হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রথমবার খেলতে নেমে হেরে বসেছেন শান্ত-সৌম্যরা। এর পেছনে টপ অর্ডারের ব্যর্থতাই মূল ভূমিকা রেখেছে। জিম্বাবুয়ে সিরিজের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিমকে বিশ্রামে রেখে পাঠানো হয়েছিল। ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। কিন্তু ব্যর্থ দুজনই।
সৌম্য তবু ১৩তম বলে আউট হওয়ার আগে ২০ রান করেছেন। বাকিরা সবাই এক শ স্ট্রাইকরেট তুলতে ব্যর্থ। লিটন দাস লাইন মিস করে এলবিডাব্লিউ হওয়ার আগে ১৫ বলে ১৪ রান করেছেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১১ বলে করেছেন ৩ রান। সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১২ বলে করেছেন ৬ রান।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে শান্তকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁরা টি-টোয়েন্টির মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করতে পারছেন কিনা। শান্তকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ১১ বলে ১৫ থেকে ২০ রান করতে পারলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত কিনা।
জবাবে শান্ত বলেছেন, তাঁরা টি-টোয়েন্টি মেজাজ নিয়েই নেমেছিলেন, ‘প্রত্যেক ব্যাটসম্যানই অবশ্যই টি-টোয়েন্টির ইনটেন্ট নিয়েই ব্যাটিং করার চেষ্টা করে। পরের ম্যাচে যখন ব্যাটিং করব, ১১ বলে ১৫-২০ করতে চাই না। এর চেয়ে বেশি বল খেলতে এবং বেশি রান করতে (চাই)।’
হিউস্টনে প্রায় অপ্রস্তুত এক মাঠেই বাংলাদেশের খেলা দেখতে হাজির হয়েছিলেন কিছু বাংলাদেশি সমর্থক। এক প্রবাসী তো দাবি করেছেন, প্রায় দেড় হাজার ডলার খরচ করে খেলা দেখতে এসেছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের জয় উপহার দিতে পারেনি।
এ ব্যাপারে শান্তকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সমর্থকদের হতাশ করেছেন কিনা তাঁরা। এমন দাবি মানতে রাজি নন শান্ত, ‘নাহ, হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন (এমনটা না)। যেটা বললাম, আমরা ভালো খেলিনি। পরের ম্যাচে চেষ্টা করব ভালো খেলার। সবাই আজকেও চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমরা আজ ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। ’