চলতি বছরের অক্টোবরে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বাংলাদেশে। কিন্তু সম্প্রতি ছাত্রদের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে। সরকার পতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে সহিংসা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা এখনো স্থিতিশীল হয়নি। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বিশ্বকাপটা বাংলাদেশেই আয়োজন করতে। বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে চিঠি দিয়েছে বিসিবি। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ।
ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ক্রিকবাজ লিখেছে, এর আগে-পরে বোর্ডের বেশ কয়েকজন পরিচালক দেশ ছেড়েছেন, যাঁদের মধ্যে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও আছেন।
ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে লেখা, বোর্ডের পরিচালকদের মধ্যে যাঁরা এখনো ঢাকায় আছেন, তাঁরা বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু ক্রিকবাজকে বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি টুর্নামেন্টটা আয়োজন করার। সত্যি বলতে আমাদের মধ্যে খুব বেশি লোক দেশে নেই। বৃহস্পতিবার মেয়েদের বিশ্বকাপের জন্য নিরাপত্তা চেয়ে সেনাপ্রধানকে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। আমাদের হাতে মাত্র দুই মাসের মতো সময় আছে।’
ইফতেখার আহমেদ আরও বলেছেন, ‘দুদিন আগে আইসিসি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। আমরা তাদের বলেছি, শিগগির প্রতিক্রিয়া জানাব। আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) অন্তবর্র্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এরপরেও তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে হবে। এটা কোনো বোর্ড বা অন্য কেউ দিতে পারে না। এটা দিতে পারে দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই আমরা আজ তাদের (সেনাবাহিনীকে) চিঠি পাঠিয়েছি। তাদের থেকে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আমরা আইসিসিকে জানাব।’
উল্লেখ্য, ১০ দল নিয়ে আগামী ৩ থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ১৮ দিন ব্যাপী চলমান বিশ্বকাপে দুটি ভেন্যুতে ২৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ভেন্যু হিসেবে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের পাশাপাশি সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামকে নির্ধারণ করা হয়েছিল।