ভারতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর্দা নেমেছে প্রায় ৯ মাস হতে চলল। দীর্ঘ এ সময়ে আরেকটা বৈশ্বিক টুর্নামেন্টও (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ) দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। কিন্তু এতদিন পরেও আলোচনায় আসছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
সম্প্রতি ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)- এর সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল অভিযোগ তোলেন, ক্রিকেটারদের এখনো ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রাইজমানি দেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিবি। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে দেশীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা দাবি করেছে, আইসিসি এখনো বিশ্বকাপের প্রাইজমানি পাঠায়নি।
আইসিসির চুক্তি অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে প্রাইজমানি দেওয়ার নিয়ম। গত নভেম্বরে শেষ হওয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ ইউএস ডলার ও গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচ জেতার জন্য ৪০ হাজার করে আরও ৮০ হাজার ইউএস ডলার, সবমিলিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। দেশীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। কিন্তু বিশ্বকাপের প্রায় ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সে অর্থ পায়নি ক্রিকেটাররা- এমন অভিযোগ ছিল দেবব্রত পালের।
গতকাল এ প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে বিসিবি উল্লেখ করেছে, ‘বিসিবি স্পষ্ট করতে চায় য, ইচ্ছাকৃত বা বোর্ডের অবহেলার কারণে (প্রাইজমানি দিতে) বিলম্ব হচ্ছে, বিষয়টি এমন নয়। মূলত ক্রিকেট বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক বড় ইভেন্ট শেষ হওয়ার পর আইসিসির কাছ থেকে সে টাকা পেতে কয়েক মাস লেগে যায়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপ ২০২৩ শেষ হয়েছে নভেম্বরে। এরপর বিসিবি দ্রুতই আইসিসির কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছে। তবে কর সংক্রান্ত ও অন্যান্য সমস্যার কারণে টাকা বিতরণ প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হয়েছে। এ ধরনের প্রশাসনিক বাধা যে শুধু বিসিবির জন্য, এমন নয়। অন্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোও এটির সম্মুখীন হয়েছে।’
প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং ফার্ম ডেলয়েট হাসকিন্স অ্যান্ড সেলসের এলএলপিকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়ে বিসিবি বলেছে, সকল আনুষ্ঠানিকতা আপাতত শেষ। তাই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রাইজমানি পাওয়ার আশা করছে তারা।
বিসিবির ভাষ্য, ‘আমাদের জানানো হয়েছে, এ আনুষ্ঠানিকতা সম্প্রতি শেষ হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে পুরস্কারের টাকা বিসিবির অ্যাকাউন্টে জমা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’