২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের বলি হয়ে সব সংস্করণের নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হয়েছিল বাবর আজমকে। ওয়ানডের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক করা হয়েছিল শাহিন শাহ আফ্রিদিকে।
কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কঠিন এক সিরিজ হারের পর আফ্রিদির কাছ থেকে নেতৃত্ব কেড়ে আবার বাবরের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত কোনো ভালো ফল এনে দেয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহজতম গ্রুপে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ দিয়ে বহুদিন পর জাতীয় দলে ফেরা অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম বলছেন, বাবরকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত শুধু দল নয়, দেশকেই অবাক করে দিয়েছিল।
বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া সফর করতে যায় পাকিস্তান। বরাবরের মতোই টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা। টি-টোয়েন্টিতেও সফল হতে পারেনি। এরপর পাকিস্তান সুপার লিগেও শাহিন আফ্রিদির দল ব্যর্থ হয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের পারফরম্যান্স দেখে জাতীয় দলের অধিনায়ক পরিবর্তনের মতো অবিশ্বাস্য এক সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি।
এমন সিদ্ধান্তে যে ক্রিকেটাররা অবাক হয়েছিলেন, সেটা জানিয়েছেন ইমাদ। পাকপ্যাশনের ইউটিউব চ্যানেলে কথা বলতে এসে বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, অবাক হয়েছিলাম। কিন্তু কী বলার আছে? এটা শেষ পর্যন্ত নির্বাচকদের দায়িত্ব। তাদের কাছে যেটা সবচেয়ে ভালো মনে হয়েছে, সে অনুযায়ী দল বেছে নিয়েছে, অধিনায়ক বেছে নিয়েছে।’
শুধু ক্রিকেটাররা নন, এমনকি পাকিস্তানের সাধারণ মানুষও যে এই সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছিল, সেটাও জানিয়েছেন ইমাদ, ‘শুধু আমি না, সত্যি বলতে সবাই (ক্রিকেটাররা) অবাক হয়েছে। পাকিস্তানের সব মানুষও।’
তবে বাবরের অধিনায়কত্ব বা অধিনায়কত্বে পরিবর্তনকে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণ মানেন না ইমাদ, ‘আমি তা বিশ্বাস করি না। আপনি যে কাউকে অধিনায়ক বানাতে পারেন, কিন্তু মাঠে কীভাবে খেলছেন, সেটাই মূল ব্যাপার। অবশ্যই অধিনায়কত্ব ও ম্যানেজমেন্ট একটা ভূমিকা রাখে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সি পার্থক্য গড়ে দেয়। অধিনায়কত্ব বা ম্যানেজমেন্টের দোষ দিতে পারছি না। দিন শেষে, আমার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও এতে প্রভাব ফেলেছে।’