ভারতের অধিনায়ক পরিবর্তন করার এটাই সময় বলে মনে করেন মিতালি রাজ। সাবেক অধিনায়ক মনে করেন আট বছর ধরে দায়িত্বে থাকা ৩৫ বছর বয়সী হারমানপ্রীত কৌরের বিকল্প যদি বেছে নিয়েই হয়, সেটা একটা বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করাই ভালো।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অস্ট্রেলিয়ার পরই ফেবারিট মানা হচ্ছিল ভারতকে। বাংলাদেশের পরিবর্তে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন হওয়ায় তো অনেকের চোখে ভারতই এগিয়ে ছিল। কিন্তু গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে গ্রুপ থেকেই বাদ পড়েছে। অথচ সর্বশেষ তিন বিশ্বকাপেই সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত।
কৌরের আগে ভারতের অধিনায়কত্ব করা রাজের ধারণা, এখনই পরিবর্তনের সেরা সময়। ‘নির্বাচকদের যদি মনে হয় পরিবর্তন দরকার, তাহলে আমি তরুণ অধিনায়ক নিতে বলব। এখনই সময়। এর চেয়ে বেশি দেরি করলে, সামনেই ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে (২০২৫ এর অক্টোবর)। এখন না করে আরও পরে করবেন না আবার, ততদিনে আবার বিশ্বকাপ কাছে চলে আসবে।’
এ কারণেই ২৮ বছর বয়সী বর্তমান সহ-অধিনায়ককে দায়িত্ব দিতে মানা করছেন মিতালি রাজ, ‘স্মৃতি (মান্ধানা) আছে কিন্তু আমার ধারণা জেমিমা রদ্রিগেজ, ওর বয়স ২৪, সে তরুণ, ওই বেশিদিন অবদান রাখতে পারবে। মাঠে ওকেই বেশি প্রাণবন্ত মনে হয়, সে সবার সঙ্গে কথা বলে। এই টুর্নামেন্টে ওকে দেখে মুগ্ধ।’
গ্রুপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাঁচামরার ম্যাচে ফিফটি পেলেও অধিনায়ক কৌরের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। ওদিকে জেমিমার আগ্রাসী চেষ্টা মনে ধরেছে রাজের, ‘ছোট ছোট ইনিংস খেললেও রান বড় করতে পারেনি সে, কিন্তু যখন কোনো মোমেন্টাম ছিল না, সেখানেও সে মোমেন্টাম সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। মোমেন্টাম থাকলে, সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।’
রাজের ধারণা গত তিন বছরে ভারত দলে কোনো উন্নতি হয়নি। নীচু স্তরের দলের সঙ্গে জিতেই সন্তুষ্ট ছিল ভারত। এ কারণেই বিশ্বকাপে ভালো দলের বিপক্ষে ভারত পারেনি বলে ধারণা মিতালির, ‘আমার মনে হয়েছে গত দুই-তিন বছরে এই দলের মধ্যে কোনো উন্নতি দেখিনি। সেরা দলকে হারানোর জন্য আপনাকে প্রস্তুত হতে হবে, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে অন্য দলকে হারিয়েই আমরা খুশি। সবদল সীমিত সুযোগের মধ্যে উন্নতি করেছে, যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু আমরা করিনি।’
সর্বশেষ এশিয়া কাপেও ভারতের চিন্তাভাবনা পছন্দ হয়নি মিতালির, ‘এশিয়া কাপে নীচু সারির দলগুলোর বিপক্ষে বেঞ্চের শক্তি দেখার সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা করিনি সেটা। ছেলেদের দল ভালো করে কেন? বড় টুর্নামেন্ট বা সিরিজের পর তারা তরুণদের সুযোগ দেয়। যদি দলের বেঞ্চের কথা বলি, আমরা (মেয়েদের দল) কখন এটা করব?’