রিস টপলির চলার পথে কেউ চেয়ার কেন রাখে! তা-ও বিশেষ করে যে দিনগুলোতে তিনি হতাশ হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে!
ইংল্যান্ডের পেসারের সঙ্গে যা ঘটেছে তা দুঃখজনক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির দিন বারবাডোজে বল করতে গিয়ে ডান হাঁটুতে চোট পান ৩০ বছর বয়সী ইংলিশ পেসার। এরপর বেশিক্ষণ আর মাঠে থাকতে পারেননি। রাগে-হতাশায় মাঠ ছাড়ার সময়ে সামনে থাকা একটা চেয়ার ভেঙে ফেলেন। কিন্তু এ জন্য তাঁকে ম্যাচ ফি-র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ২৪ মাসের মধ্যে এটিই তাঁর প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট।
টপলির চেয়ার ভাঙাভাঙি এবারই প্রথম নয়। ২০২৩ বিশ্বকাপেও বাঁ হাতের তর্জনীতে চোট পান তিনি, সে চোটে টুর্নামেন্টে আর খেলতেই পারেননি। সেদিনও মাঠ ছাড়ার সময়ে যত রাগ টপলি ঝেড়েছেন সামনে থাকা চেয়ারের ওপর। সে যাত্রায় পার পেয়ে গেলেও এবার জরিমানা গুনতেই হলো তাঁকে।
গত শনিবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হাঁটুতে চোট নিয়েও খেলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন টপলি। বৃষ্টিবিরতির পর আবার বোলিংয়ের চেষ্টাও করেছেন। তবে এক বল করতেই বুঝে যান, আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
চোটে জর্জর ক্যারিয়ারে কখনো পিঠে, কখনো অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়ে বারেবারে হতাশায় পুড়েছেন টপলি। ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলা হয়নি তাঁর, চোটের কারণে। বারেবারে এভাবে চোটে পড়লে কার না অদৃষ্টের ওপর রাগ হবে! টপলিরও হলো।
মাঠ ছাড়ার সময়ে সামনে একটা চেয়ার পেয়ে সেটি উঁচিয়ে ধরেন টপলি, তারপর সেটিকে আছাড় মারেন সিঁড়ির হাতলে। এবারের চোট কতটা গুরুতর তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। তবে চোটের কারণে রোববার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে খেলা হয়নি টপলির।
তা এবারের চোটের পর চেয়ারের ওপর রাগ ঝেড়ে জরিমানার মুখে পড়ছেন টপলি। আইসিসির আচরণবিধির ‘লেভেল ১’ ভাঙার দায়ে জরিমানা গুনছেন তিনি। আচরণবিধির ধারা ২.২ (আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময়ে ক্রিকেটীয় সরঞ্জামাদি বা কাপড়, মাঠের সরঞ্জামের ক্ষতিসাধণ) অনুযায়ী এই জরিমানা হয়েছে তাঁর।