ফিফটি থেকে ৩ রানে দূরে থাকতে রিজান হোসেন (৬৫ বলে ৪৭ রান) যখন আউট হলেন, তখন বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ১৫৫ রানে ৬ উইকেট। সেখান থেকে মুহূর্তেই স্কোরবোর্ড হয়ে যায় ১৬৭/৮। ইনিংসের তখনো ৮ ওভার বাকি থাকলেও বাংলাদেশ কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে, সেটাই ছিল দেখার।
নবম উইকেট জুটিতে ফরিদ হাসান ফয়সাল ও মারুফ মৃধার ৩০ রানের সুবাদে ভারতের অপেক্ষার পালাটা দীর্ঘ হয়। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে ফয়সালকে (৪৯ বলে ৩৯ রান) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন চেতন শর্মা। পরের ওভারের প্রথম বলে ইকবাল হোসেন ইমন আউট হতেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ততক্ষণে ভারতকে ১৯৯ রানের লক্ষ্য দিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আজ টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে এই ছিল বাংলাদেশের ইনিংসের হালচাল। অথচ ৩ উইকেটেই ১২৮ রান করে ফেলেছিল বাংলাদেশের যুবারা।রিজানের ৪৭ ও ফয়সালের ৩৯ রানের দিনে মোহাম্মদ শিহাব জেমসের ব্যাট থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশর। ইনিংসে সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ওপেনার কালাম সিদ্দিকী এলিন (১) যখন আউট হলেন, তখন দলের রান ১৭। দলকে ৪১ রানে রেখে বিদায় নেন আরেক ওপেনার জাওয়াদও (২০)। পুরো টুর্নামেন্টে দলের ব্যাটিং অর্ডারের ঢাল হয়ে থাকা আজিজুল হাকিম তামিম আজ ১৬ রান করেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরেছেন।
৬৬ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায় জেমস-রিজানেরর চতুর্থ উইকেট জুটিতে। দুজনে মিলে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৬২ রান। ইনিংসের ৩২তম ওভারের শেষ বলে জেমস আউট হন। ৩৪তম ওভারে বিদায় নেন দেবাশীষও। এরপর ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে রিজানের আউটের পর বাংলাদেশকে দুই শ ছুঁই ছুঁই সংগ্রহ এনে দেন ফয়সাল। মারুফ মৃধা শেষ পর্যন্ত ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।