তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১২ রানে হারের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৭ রানে হেরে বসেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।
একই ভেন্যুতে আজ সোমবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৩ রান করেছে বাংলাদেশ।
অথচ সোবহানা মোস্তারি (৪৩ বলে ৪৫ রান) ও শারমিন আক্তার সুপ্তার (৩৩ বলে ৩৪ রান) ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ আজ বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল। দলের ৩৩ রানে ওপেনার মুরশিদা খাতুন (১২) আউট হলেও সোবহানা ও সুপ্তার সৌজন্যে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৩ ওভারেই ১০০ রানে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
কিন্তু এরপরই হঠাৎ ঝড়। শেষ ৭ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলতে পারে মোটে ২৩ রান। ৩ রানের ব্যবধানে সোবহানা ও সুপ্তা আউট হওয়ার পর আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি।
আজ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর চতুর্থ ওভারে ওরলা প্রেনডারগাস্টের বলে ক্যাচ হয়ে আউট হন মুরশিদা। এরপর দলের হাল ধরেন সোবহানা ও সুপ্তা। দুজনেই শুরু থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। তাতে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪৯।
দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে ৯ ওভারের বেশি উইকেট বঞ্চিত থাকে আইরিশরা। তবে ইনিংসের ১৪তম ওভারে মাগুয়েরের বলে সুপ্তাকে স্ট্যাম্পিং করে জুটি ভাঙেন উইকেটকিপার কোল্টার রেইলি। সুপ্তা-সোবহানার দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৮ বলে ৭১ রান পেয়েছে বাংলাদেশ।
সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সোবহানাও। ফিফটির সম্ভাবনা জাগালেও মাগুয়েরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে বিদায় নেন ৪৩ বলে ৪৫ রান করে।
এরপর কেবলই উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিল চলেছে। যে মিছিলে একে একে যোগ দিয়েছেন জ্যোতি (০), স্বর্ণা আক্তার (৪), রিতু মনি (০), নাহিদা আক্তার (১)।
আইরিশদের হয়ে ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন প্রেনডারগাস্ট। এছাড়া মাগুয়ের ২৫ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন।