সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাবর আজমকে প্রতারক বলেছেন। এটাও বলেছেন, ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই প্রতারণা করে যাচ্ছেন বাবর।
২০২৩ সালে এশিয়া কাপে নেপালের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর থেকেই ওয়ানডেতে তিন অঙ্কের দেখা নেই বাবর আজমের। ২৩ ইনিংসে ৭টি ফিফটি করলেও গড় মাত্র ৩৭, আর স্ট্রাইকরেট ৮০-এর নিচে (৭৮.৬৮)। পঞ্চাশোর্ধ মাত্র এক ইনিংসে স্ট্রাইকরেট ১০০-এর বেশি বাবরের। বাকি আর মাত্র দুই ইনিংসেই বলের চেয়ে রান বেশি ছিল।
শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ও বড় উপলক্ষ্যে বারবার ব্যর্থ হলেও সমর্থকেরা বাবরকে বরাবরই বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করতে পছন্দ করেন। এমনকি অনেক সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটারও বাবরের রানবন্যা দেখে আবেগি হয়ে কোহলির চেয়েও মাঝে মাঝে এগিয়ে রাখতেন বাবরকে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ৩২০ রান ছাড়ানো লক্ষ্যে নেমে বাবরের ৯০ বলে ৬৪ রান পাকিস্তানকে উলটো ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। ভারতের বিপক্ষে ভালো পারফরম্যান্সে সে সমালোচনা ভুলিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু গতকাল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যেখানে ফর্মে না থাকা কোহলি সেঞ্চুরি করেছেন, ওদিকে বাবর আউট হয়েছেন ২৩ রানে।
টিভি শো গেম অন হে-তে এসে বাবরকে ধুয়ে দিয়েছেন শোয়েব আখতার। সাবেক ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘আমরা সবসময় বাবর আজমকে বিরাট কোহলির সঙ্গে তুলনা করি। এখন আমাকে বলুন তো বিরাট কোহলির আদর্শ কে? শচীন টেন্ডুলকার। আর তিনি ১০০ সেঞ্চুরি করেছে এবং বিরাট সে পথ অনুসরণ করছে।’
তারপরই খোঁচা দিয়েছেন বাবরকে, ‘বাবর আজমের আদর্শ কে? টুকটুক (কারও নাম বলেননি)।’ নাম না বললেও কারও বুঝতে বাকি নেই কার কথা বলছেন শোয়েব। বিশ্ব ক্রিকেটেই টুকটুক নামে পরিচিত একজন, মিসবাহ-উল-হক। সাদা বলেও অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক মানসিকতার জন্য টুকটুক (রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার সময় ব্যাটে বল লাগার শব্দ) নামে পরিচিত ছিলেন মিসবাহ। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে রান করার জন্য বাবরের অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক খেলাও সমালোচিত হচ্ছে বহুদিন ধরে।
শোয়েবের দাবি দলের জন্য না খেলে শুধু রান বাড়িয়ে নিজেকে সেরা দেখানোর চেষ্টা করছেন বাবর, ‘ভুল লোককে আদর্শ মানছে ওরা। চিন্তাতেই ভুল ওদের। শুরু থেকেই প্রতারক ছিলে তুমি। আমি পাকিস্তান ক্রিকেট দল নিয়ে কোনো কথাই বলতে চাই না। আমাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে বলেই বলছি। এটা সময়ের অপচয়। ২০০১ সাল থেকেই অধঃপতন চলছে। আমি এমন অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করেছি, যাদের ব্যক্তিত্ব দিনে তিনবার বদলাত।’
এরপর দলের ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন শোয়েব আখতার, ‘এই হারে আমি হতাশ না কারণ আমি জানতাম এটাই হবে। মাত্র পাঁচ বোলার নিয়ে নামতে পারেন না, পুরো বিশ্ব ছয় বোলার নিয়ে নামছে… আপনি দুজন অলরাউন্ডার নিয়ে নামছেন, কিন্তু এটা বুদ্ধিহীন ও বিভ্রান্ত চিন্তা। আমি খুবই হতাশ।’