অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগ স্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিলের ক্রিকেটের পরের জীবনটা সমালোচনায় ভরা। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বশেষ টেস্ট খেলা এই স্পিনার ৪ বছর ধরে মাদক পাচারের মামলায় আইনিভাবে লড়ছেন।
২০২১ সালে কোকেন সরবরাহের অভিযোগ আনা হয় অস্ট্রেলিয়ান এই স্পিনারের বিরুদ্ধে। এমনকি ২০২৩ সালে গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন ম্যাকগিল। ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারের কোকেন চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
এবার সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ম্যাকগিল। কিন্তু চোরাচালানের মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও লঘু অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এই স্পিনার।
আজ সিডনি জেলা আদালতের একটি জুরি জানিয়েছে, স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল ২০২১ সালের এপ্রিলে কোকেন পাচারের যে মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সেটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি।
জুরি আরো জানিয়েছে, ম্যাকগিল কোকেন সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তাঁর রেস্তোরাঁ থেকে শুরু হওয়া বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না।
আর এই কারণে আদালত রায় তাঁর পক্ষে দিয়েছেন। ইএসপিএন ক্রিকইনফো তাঁদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ম্যাকগিলের সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীর যোগাযোগ ছিল। তাঁর শ্যালক মারিনো সোতিরোপোলোস ও ম্যাকগিলের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারের বিনিময়ে এক কেজি কোকেন পাচারের চুক্তি হয়েছিল।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান ম্যাকগিলের সম্পৃত্ততা ছাড়া এই চুক্তি সম্ভব ছিল না এবং তিনি আর্থিক লেনদেনেও যুক্ত ছিলেন।
কিন্তু ৫৪ বছর বয়সী ম্যাকগিল আদালতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সিডনির উত্তর তীরে অবস্থিত তাঁর রেস্তোরাঁয় একটি বৈঠকে যোগ দিলেও কোনো ধরনের আর্থিক চুক্তি হয়নি।
এদিকে আদালতে ম্যাকগিলের বিরুদ্ধে আনা অর্থ লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণও করা যায়নি। মামলা থেকে মুক্তি পেলেও লঘু অপরাধের জন্য শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এই স্পিনার। ৮ সপ্তাহ পর তাঁর শাস্তির চূড়ান্ত রায় দেয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ৪৪ টেস্ট খেলা ম্যাকগিল ক্যারিয়ারের প্রায় সবটা সময়ই শেন ওয়ার্নের ছায়া হয়ে ছিলেন। ৪৪ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডে খেলা ম্যাকগিল ২১৪টি উইকেট নিয়েছেন।