ঘরের মাঠে আয়োজিত সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভরাডুবি হয়েছে পাকিস্তানের। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের। পাকিস্তানের এমন ব্যর্থতায় সমালোচনার ঝড় বইতে থাকে। সে ঝড়ের মাঝেই চোখ কপালে তোলা এক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। দেশটির ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ৭৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি।
বোর্ডের এ আচমকা সিদ্ধান্তে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয় দেশটির ক্রিকেটাঙ্গনে। ম্যাচ ফি কমানোয় দেশটির সাবেক থেকে বর্তমান ক্রিকেটারদের অনেকেই সরাসরি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এমন প্রতিক্রিয়ায় ম্যাচ ফি কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। দেশটির ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে।
পিসিবির এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ক্রিকেট পাকিস্তান জানিয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি কমানোর বিষয়টি মহসিন নাকভির নজরে এসেছে। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচালক আবদুল্লাহ খুররম নিয়াজিকে ম্যাচ ফি অপরিবর্তিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে সকল খেলোয়াড়ের ম্যাচ ফি পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশও দিয়েছেন নাকভি- এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেট পাকিস্তান।
এর আগে গত মৌসুমে ক্রিকেটাররা ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ছিল ৪০ হাজার পাকিস্তানি রুপি। আর প্রথম একাদশের বাইরে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ২০ হাজার পাকিস্তানি রুপি করে। কিন্তু কয়েকদিন আগে এটি ৭৫ শতাংশ কমিয়ে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ৫ হাজার পাকিস্তানি রুপি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পিসিবি। সমালোচনার মুখে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে যেতে বাধ্য হলো পিসিবি।
মজার বিষয়, ২০২২ সালে এ টুর্নামেন্টে আরও বেশি ম্যাচ ফি পেতেন ক্রিকেটাররা। সে সময় একাদশে থাকা ক্রিকেটাররা প্রতি ম্যাচের জন্য পেতেন ৬০ হাজার পাকিস্তানি রুপি।