২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কথা চিন্তা করে বলে থুতু মাখানো নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল। মহামারির পরও সে নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়নি। তবে এবারের আইপিএলে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হচ্ছে।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক এ ব্যাপারে একমত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের মে মাসে প্রথম করোনা মহামারির মধ্যে ক্রিকেট চালু করার পদক্ষেপ হিসেবে সাময়িকভাবে বলে থুতু মাখানো নিষিদ্ধ করা হয়। ২০২২ সালে আইসিসি এই নিষেধাজ্ঞা স্থায়ী করে। বর্তমানে শুধু ঘাম ব্যবহার করতে পারেন ফিল্ডাররা।
বোলারদের জন্য থুতু ব্যবহার করা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। থুতু ব্যবহার করে বলের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়। আর সে উজ্জ্বলতাই বলে সুইং পেতে সাহায্য করে। বিশেষ করে বলের একদিকে উজ্জ্বল করে অন্যদিকে স্বাভাবিক রেখে পাওয়া রিভার্স সুইং ক্রিকেটকেই বদলে দিয়েছিল।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির তুলনায় টেস্টে অর্থাৎ লাল বলে থুতুর ব্যবহার বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু করোনাকাল শেষেও বলে থুতু মেশানোর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইসিসি। তবে আইপিএলের এই সিদ্ধান্তের পর হয়তো অবশেষে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতেও পারে সংস্থাটি। কারণ বিসিসিআইয়ের সাবেক সচিব জয় শাহই এখন আইসিসির হর্তাকর্তা।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের কাছে এ খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ, ‘আমাদের জন্য এটা দারুণ খবর কারণ যখন বল কিছু করে না, থুতুর ব্যবহার কিছুটা রিভার্স সুইং পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াবে।’ এ মাসের শুরুতে আরেক ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামিও আইসিসিকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে দিতে বলেছিলেন।
সাবেক অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও কদিন আগে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘আইসিসি এক রিসার্চ পেপার ছাপিয়েছে যাতে বলা হয়েছে থুতু রিভার্স সুইংয়ে তেমন প্রভাব ফেলে না এবং থুতু না দেওয়ায় খুব একটা পার্থক্য হচ্ছে না। আমি জানি না কীভাবে তারা এই গবেষণা করেছে, কিন্তু যদি সমস্যা না থাকে থুতু ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত।’