ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ দেখা ফেলা সাকিব আল হাসান এখনও জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন। আজ বাংলাদেশের ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি সান-এ সাক্ষাৎকারে নিজের বর্তমান অবস্থানসহ সামনে কী করতে চান সেসব জানিয়েছেন সাকিব।
রাজনৈতিক কারণে ক্রিকেট থেকে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সাকিবের। সব মিলিয়ে গত কয়েক মাসে কঠিন সময় পার করেছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। নিজ দেশ থেকে দূরে থাকলেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়মিত খোঁজ রাখছেন এই অলরাউন্ডার। খোঁজ যে রাখছেন, সেটার প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) সন্দেহজনক এক স্টাম্পিং নিয়ে বিসিবির কর্মপ্রক্রিয়া নিয়ে সাকিবের প্রশ্নে।
দেশের ক্রিকেটের খোঁজ খবর রাখা হয় কি না - এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব তুলে এনেছেন ডিপিএলে সন্দেহজনক ওই আউটের ঘটনা। ওই ঘটনার পর বিসিবি সন্দেহজনক সেই আউটের দৃশ্য ক্রিকেটারদের দিয়ে পুনঃনির্মাণের ব্যাপারটি সাকিবের কাছে অর্থহীন মনে হয়েছে।
এই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘আমি এমন রিপোর্ট দেখেছি, যেখানে খেলোয়াড়দের ফিক্সিং ইস্যুর একটি দৃশ্য পুনরায় করে দেখাতে বলা হয়েছিল (ডিপিএলে শাইনপুকুর এবং গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচে স্টাম্পড আউটের ঘটনা)। আমার কাছে এটাকে পুরোপুরি অর্থহীন মনে হচ্ছে। আপনি যদি ফুটেজটা দেখেন, তাহলে ঠিকই বুঝতে পারবেন কী ঘটেছিল। যারা ক্রিকেট বোঝেন যে কেউ এটা ধরতে পারবে। খেলোয়াড়দের ডেকে দৃশ্যটি আরেকবার করানোর কোনো মানে নেই।’
এভাবে ঘটনার পুনঃনির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন জাগছে সাকিবের মনে, ‘আপনি ওদের আনুষ্ঠানিকভাবে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন, কিন্তু ওদের দৃশ্যটি কেন আরেকবার করতে বলছেন? তাঁরা কী প্রমাণ করতে চাইছে? আমি বুঝতে পারছি না। এত বছর ধরে ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার পর মনে হচ্ছে - আমি পাগল নাকি ওরা পাগল?’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাশাপাশি সাক্ষাৎকারে গত কয়েক মাসে নিজের উপলব্ধি নিয়েও কথা বলেছেন সাকিব। আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে ঢোকা হয়নি আওয়ামী লীগের হয়ে সর্বশেষ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাকিবের। কিছু মামলায় তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গত কয়েক মাসে কী শিক্ষা পেয়েছেন সাকিব?
এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘আমি এখন মানুষের নতুন রূপ দেখতে পাচ্ছি। হয়তো আগে আমি একটা ঘোরের মধ্যে বাস করছিলাম।’
আর বর্তমানের ‘নতুন’ বাংলাদেশকে কীভাবে দেখছেন - এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিবের ভাষ্য, ‘আমি নিশ্চিত উনারা সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছেন, কিন্তু তাঁরা কতদূর এগিয়ে যেতে পারবেন তা সময়ই বলবে। এর বাইরে আমি বেশি কিছু বলতে পারছি না।’