সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্য সিলেটে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচে টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে কেমন উইকেট হতে পারে, তা নিয়ে চলছে আলোচনা। আলোচনা বলতে, বাংলাদেশে তো প্রায়ই টেস্টে ম্যাচে স্লো, স্পিনিং উইকেট হয়ে থাকে, এবারও তেমনই হবে কি না।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে উইকেট নিয়ে প্রশ্নে অবশ্য বাংলাদেশ কোচ ফিল সিমন্স সোজাসুজিই উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। ‘প্রপার’ উইকেট চান সিমন্স।
আজ সিলেটে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি কেমন এবং সিরিজে কেমন উইকেট হতে পারে - সেসব প্রশ্নে উত্তর দিয়েছেন ক্যারিবিয়ান এই কোচ। সিলেটে কেমন উইকেট চান, এমন প্রশ্নের জবাবে সিমন্স বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনায় প্রপার উইকেট। আমরা যেরকম টেস্ট দল হয়ে উঠতে চাই, সেজন্য যেমন উইকেট দরকার সেরকমই চাই।’
অতীতে বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে তিন স্পিনার নিয়েও একাদশ সাজাতে দেখা গেছে। উইকেট স্পিন-বান্ধব হলে একাদশ তো তেমনই হবে! তবে এবার সেই প্রয়োজনীয়তা দেখেছেন না সিমন্স, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য স্পিন ট্র্যাক তৈরি করার প্রয়োজন নেই। প্রপার উইকেটে খেলেই আমরা টেস্ট জিততে চাই। স্পিন ট্র্যাক, সিমিং ট্র্যাক এমন কোনো আলোচনা হয়নি।’
কিন্তু পেসার-বান্ধব উইকেট হলে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে দলে ব্লেসিং মুজারাবানির মতো লম্বা বোলার বাংলাদেশের চিন্তার কারণ হতে পারে কি না, এমন শঙ্কা নিয়েও আলোচনা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, ‘উইকেট পেসারদের পক্ষে থাকলে বিশ্বের যেকোনো দলের বিপক্ষেই সে হুমকি। তার উচ্চতা অনেক বেশি, এটা তাকে ভিন্নরকম সুবিধা দেয়। তবে তার বিপক্ষে ছেলেরা খেলেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও দেখা হয়েছে। তার সম্পর্কে ধারণা আছে। কীভাবে খেলতে হবে নিশ্চয়ই সেই ধারণা হয়ে যাবে।’
জিম্বাবুয়ের যদি মুজারাবানি থাকেন, বাংলাদেশেরও তো নাহিদ রানা আছেন! পেস-বান্ধব উইকেটে নাহিদও তো এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন। এ নিয়ে সিমন্স বলেন, ‘এটা মুজারাবানির মতোই ব্যাপার। তারা তাদের মতো করে ব্যাটারদের বেকায়দায় ফেলতে পারে, যার জন্য প্রায় সব পেসারই মুখিয়ে থাকে। ঠিক জায়গায় বল করতে পারলে অবশ্যই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারে।’