কাশ্মীরের পেহেলগামে জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা কাঁপিয়ে দিয়েছে ভারতকে। ২৬ পর্যটকের প্রাণহানির এই ঘটনার শোক ছুঁয়ে গেছে সবাইকেই। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়্যেবা। তবে ভয়ংকর এই সন্ত্রাসী হামলার পেছনে উদ্দেশ্য কী ছিল, নেপথ্যে কাদের হাত ছিল – এ নিয়ে নানা তত্ত্ব আর বিশ্লেষণ চলছেই।
ওদিকে এই ঘটনার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের ভেঙে পড়া কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। দুই দেশই একে অন্যের ওপর পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞাসহ আরও শক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ন্যাক্কারজনক ঘটনাটা নিয়ে কথা বলেছেন ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। তাঁর সহজ হিসাব, এসব করেও গত ৭৮ বছরে দুই দেশের কেউ অন্য কারও এক ইঞ্চি জমি নিজেদের করে নিতে পারেনি, কখনো পারবেও না। তাই সন্ত্রাসী এমন সব হামলার পেছনের ব্যক্তিদের প্রতি তাঁর সরল আহ্বান, এসব বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষকে শান্তি দিন।
আইপিএলে আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচের আগে এই হামলার নিন্দা জানিয়ে কথাগুলো বলেছেন গাভাস্কার। স্টার স্পোর্টসে ভারতীয় কিংবদন্তি বলেছেন, ‘যে পরিবারগুলো তাঁদের কাছের প্রিয় মানুষকে হারিয়েছেন, তাঁদের সমবেদনা জানাচ্ছি। আমাদের সব ভারতীয়র মনেই এই ঘটনা ছাপ ফেলেছে। সন্ত্রাসীদের কাছে, পেছন থেকে এই সন্ত্রাসের কলকাঠি নাড়ে তাদের কাছে, এই সন্ত্রাসীদের মদদদাতাদের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন, এই সব লড়াই করে কী পেলেন আপনারা?’
১৯৪৭-এ ভাগ হওয়ার পর থেকেই তো ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে নানা সময়ে ঝামেলা লেগেছে। কখনো সেটা যুদ্ধে গড়িয়েছে, কখনো একের অন্যের প্রতি নিষেধাজ্ঞায়। কূটনৈতিক টানাপোড়েন তো লেগেই আছে। ভাগাভাগির ৭৮ বছরে এসব করেও যে কারও কোনো লাভ হয়নি, সেটা মনে করিয়ে দিয়ে গাভাস্কার বললেন, ‘গত ৭৮টা বছরে, (এত সব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পরও) একটা ইঞ্চি জমিও তো কেউ কারও কাছ থেকে দখল করতে পারলেন না, তাই না? আগামী ৭৮ হাজার বছরেও কিছু হবে না। তাহলে এসব বাদ দিয়ে কেন আমরা শান্তিতে থাকতে দিচ্ছি না সবাইকে, নিজ নিজ দেশকে কেন আরও এগিয়ে নিচ্ছি না? এটাই আমার আবেদন।’
বন্দুকের ব্যারেলে যার চোখ রাখা, তার কানে শান্তি নিশ্চিত করার আহ্বান কি ঢুকবে? ৭৮ বছরের ইতিহাস তো তা বলে না।