২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর দেড় বছরে একে একে ৬টি টেস্ট খেলেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। একটিতেও জয়ের দেখা তো দূরে থাক নূন্যতম ড্রয়ের মুখও দেখেনি বাংলাদেশ।
আজ চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়েকে এক ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে হারানোর মাধ্যমে দেড় বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়েছে শান্ত-মিরাজরা। সেই সঙ্গে ১-১ ব্যবধানে সমতায় সিরিজ শেষ করল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামে আজ প্রথম সেশনে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানজিম হাসান সাকিবের জুটি ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নির্ধারণ করে দেয়। আগের দিন ৭ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করা বাংলাদেশ আজ তৃতীয় দিনে প্রথম সেশনেই দলীয় চার শ রান পার করে।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান মেহেদী হাসান মিরাজ। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের ৪১ রানের ইনিংসের সঙ্গে মিরাজের ১০৪ রানে বাংলাদেশ ৪৪৪ রানে থামে। তাতে লিড দাঁড়ায় ২১৭।
বাংলাদেশের দেয়া এই লিড টপকে জিম্বাবুয়ে স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দিবে কী, উল্টো টেস্টে আরও দুই দিন বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় ক্রেইগ আরভিনরা। বাংলাদেশের স্পিন সামলাতে ব্যর্থ জিম্বাবুয়ে মাত্র ১১১ রানেই গুটিয়ে যায়। সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ বল হাতে নেন ৫ উইকেট।
চট্টগ্রামের এই টার্নিং উইকেটে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের এত বড় লিড টপকে যেতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। তাইজুল-মিরাজদের স্পিন সামলানো যে কঠিন হবে তার প্রমাণ মিলে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই।
ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও নিক ওয়েলচকে একই ওভারে ড্রেসিংরুমের পথ দেখান তাইজুল। ২১৭ রানে পিছিয়ে থেকে ইনিংস শুরু করা জিম্বাবুয়ে ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়।
শুরুর সেই ধাক্কা থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সফরকারীরা। তাইজুলের পর জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের একে একে ড্রেসিংরুমের পথ দেখাচ্ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এক প্রান্তে ওপেনার বেন কারেন দাঁড়িয়ে থাকলেও তাঁকে কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি। এক শ রান তোলার আগেই জিম্বাবুয়ে তাদের ৮ উইকেট হারিয়ে বসে। শেষ পর্যন্ত ৪৭তম ওভারে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ওপেনার বেন কারেন করেন সর্বোচ্চ ৪৬ রান। মিরাজ নেন ৫ উইকেট, এটি তাঁর ক্যারিয়ারে ১৩তম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার। তাইজুল নেন ৩ উইকেট।