মোস্তাফিজুর রহমান আইপিএলে দল পাওয়ার পর তাঁকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে গতকাল বিসিবি বাঁহাতি এই পেসারকে সাত দিনের জন্য অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে আগামীকালই গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে মোস্তাফিজকে একাদশে খেলতে দেখা যেতে পারে।
তবে ৬ কোটি রূপিতে দিল্লি মোস্তাফিজকে আইপিএলের শেষ অংশের জন্য দলে নেওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা চলছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) মোস্তাফিজকে দলে নেওয়ায় ক্ষেপেছেন সমর্থকরা। শুধু ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থামেননি সমর্থকরা। 'বয়কট দিল্লি ক্যাপিটালস' টুইট এক্সে ট্রেন্ডিংয়ে নিয়ে গেছেন তারা।
ঠিক কি কারণে দিল্লি ক্যাপিটালস ফ্র্যাঞ্চাইজি বয়কটের ডাক দিয়েছেন সমর্থকরা? মোস্তাফিজুর রহমানকে দলে নেওয়ার পর থেকেই কেন এমন টুইট ট্রেন্ডিংয়ে?
কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গিয়েছে এর পেছনে আছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। ভারতের একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মূলত ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ও বাংলাদেশের গত বছরের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন অন্যতম কারণ।
বয়কট দিল্লি টুইটে অভিনাশ কুমার নামের একজন তার টুইট হ্যান্ডেলে লিখেছেন, দিল্লি ক্যাপিটাল দেশদ্রোহী, বয়কট দিল্লি ক্যাপিটালস। পার্থ আওয়াস্থি নামের আরেক জন দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক পার্থ জিন্দালকে এক হাত নিয়েছেন।
এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ' সাহসী পার্থ জিন্দাল, বর্ডারে ভারতের সেনারা যখন পাহারা দিচ্ছে তখন আপনি পাকিস্তানের জন্য যারা উল্লাস করছে তাদের পুরস্কার দিতে ব্যস্ত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন বয়কট দিল্লি ক্যাপিটালস প্রসঙ্গ এলেও ভারতে ঠিক সময়ে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ।
গ্রুপপর্বে দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ বাকি তিনটি। এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে ৬ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে আছে তারা। লিগ পর্বে দিল্লির শেষ তিনটি ম্যাচ আগামী ১৮, ২১ ও ২৪ মে।