ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ…টুর্নামেন্টগুলোতে গত কয়েক বছরে একটা ‘কমন’ ব্যাপার কী? খুব বেশি মনে হয় খুঁজতে হবে না, উত্তরটা প্রায় সবারই জানা। উত্তরটা এই, টুর্নামেন্টটা আইসিসির হোক বা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি), ভারত আর পাকিস্তান তাতে একই গ্রুপে পড়বে।
কিন্তু আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সম্ভবত ধারাটাতে ছেদ পড়তে যাচ্ছে। ভারতের সংবাদসংস্থা পিটিআইকে ‘বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র’ বলেছেন জানিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন, আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলকে একই গ্রুপে না-ও রাখা হতে পারে।
দুই দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ভারত আর পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ তো বন্ধ সেই ২০১৩ সাল থেকে, এতদিন দুই দেশের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাক্ষাতের মঞ্চ ছিল আইসিসি আর এসিসির টুর্নামেন্টগুলো। আর ভারত-পাকিস্তান লড়াই মানেই যেহেতু বক্স অফিস হিট, ‘সোনার ডিম’টার উৎপাদন বেশি রাখতে ভারত আর পাকিস্তানকে একই গ্রুপেই রাখা হতো। তাতে গ্রুপ পর্বে অন্তত একবার দেখা হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নকআউটেও একবার দেখা হয়ে যায়।
কিন্তু গত মাসে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে। রাজনৈতিক-কূটনৈতিক উত্তেজনা থেকে ক্রিকেট মাঠ আর বাদ যায় কীভাবে! ভারত আর পাকিস্তান যেন এখন ক্রিকেটের মঞ্চে একে অন্যের পথ না মাড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নকআউট পর্বে দেখা হওয়া তো অনিশ্চিত – সমীকরণের মারপ্যাঁচের হিসাব মিললেই শুধু দেখা হবে, গ্রুপ পর্বে আর দুই দলের ‘নিশ্চিত’ ম্যাচ দেখতে চায় না। হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ, নিউজ এইটিন, টাইমস নাউসহ ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রচারিত খবরে তেমনই ইঙ্গিত।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বিসিসিআইয়ের সূত্র বলেছেন জানিয়ে তাঁকে উদ্ধৃত করা হয়েছে এভাবে, ‘(আইসিসির) বার্ষিক সম্মেলনে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবেই। আইসিসির নকআউটে ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি না হওয়ার তো আর সুযোগ থাকে না, তবে দুই দলকে একই গ্রুপে না রাখা – যেটা কিনা আইসিসি ইভেন্টে হয়ে আসছে – সেটার একটা সম্ভাবনা আছে।’
আইসিসির যে বার্ষিক সভায় দুই দেশকে একই গ্রুপে রাখা-না রাখা নিয়ে আলোচনা হবেই বলে জানানো হয়েছে, সে বার্ষিক সভাটি হবে আগামী ১৭-২০ জুলাই, সিঙ্গাপুরে। আইসিসি চেয়ারম্যান হিসেবে সেটিই হবে বিসিসিআইয়ের সাবেক সচিব জয় শাহর প্রথম বার্ষিক সভা।