অন্য দেশের একটা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট বন্ধ করে দেওয়া যেতে পারে সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে! এমনই দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ।
গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের সময়ে ভারতের টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট আইপিএলের এক ম্যাচে সাইবার অ্যাটাকের মাধ্যমে ফ্লাডলাইট বন্ধ করেছে পাকিস্তানের শিশুরা, এমন দাবি করেছেন খাওয়াজা আসিফ। বলাবাহুল্য, এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসির পাত্র বনে গেছেন তিনি। ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন জানাচ্ছে এমন তথ্য।
খাওয়াজা আসিফ সরাসরি উল্লেখ না করলেও বুঝে নেওয়া যায়, তিনি গত ৮ মে ধর্মশালায় আইপিএলের ম্যাচে মাঠের ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিট্যালসের ম্যাচটি প্রথম ইনিংসের ১১ ওভার পর আর হতেই পারেনি, স্থগিত হয় সেদিনের মতো। পরে জানা যায়, ফ্লাডলাইট বন্ধ হওয়ার ‘টেকনিক্যাল কারণে’র কথা বলা হলেও আসল কারণ ছিল জম্মুসহ ভারতের সীমান্তবর্তী কয়েকটি এলাকায় পাকিস্তানের ড্রোন হামলা। ধর্মশালাও সীমান্তবর্তী অঞ্চল হওয়ায় সেখানে হামলার আশঙ্কায় স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট নিভিয়ে দর্শকদের দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে দেওয়া হয় সেখান থেকে।
খাওয়াজা আসিফকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, এ নিয়ে পাকিস্তানের এসেম্বলিতে সম্প্রতি খাওয়াজা আসিফ বলেছেন, ‘ভারত বুঝতে পারছে না যে ওগুলো (আইপিএলে স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট বন্ধ করে দেওয়া) ছিল পাকিস্তানের মৌলিক প্রযুক্তির খেল। আমাদের সাইবার যোদ্ধারা ভারতে লাইটগুলো বন্ধ করে দিয়ে আইপিএলের একটা ম্যাচ স্থগিত করতে বাধ্য করেছে, পানির বাঁধ খুলে দিয়েছে… আর এসব সাইবার অ্যাটাক আমাদের শিশুরাই করে দেখিয়েছে!’
স্বাভাবিকভাবেই, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন দাবির কথা ভাইরাল হওয়ার পর তাঁকে নিয়ে ঠাট্টায় মেতেছেন ভারতীয়রা। হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ খাওয়াজা আসিফকে নিয়ে এক ব্যবহারকারীর মন্তব্য, ‘আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি – আইপিএল ফ্লাডলাইট না ওয়াইফাই দিয়ে চলে না! ওগুলো সম্পূর্ণ নিরাপত্তা সম্বলিত ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমে চলে। এটা বাড়ির রাউটার না যে এটাকে হ্যাক করবেন!’
আরেকজন লিখেছেন, ‘জানতাম না যে পাকিস্তান সাইবার নিয়ে ধারণা আর সিলেবাসই আলাদা!’ আরেক ‘এক্স’ ব্যবহারকারীর শ্লেষাত্মক পোস্ট, ‘লাইট বন্ধ করে দেওয়া যদি সাইবার হামলায় বিজয় হয়ে থাকে, তাহলে আমার তিন বছরের ভাতিজা বিশ্বের জন্য বড় হুমকি, ও একবার একটা জুম মিটিংয়ের সময় ওয়াইফাইয়ের প্লাগ খুলে ফেলেছিল!’