বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে আজ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু হয়েছে। নতুন এই চক্রে বড় দলগুলো একাধিক সিরিজ খেলার সুযোগ পেলেও সব দলের ক্ষেত্রে এমনটা হচ্ছে না। ২০২৫-২৭ মৌসুমে বাংলাদেশ মাত্র ১২টি টেস্ট খেলার সু্যোগ পাচ্ছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত যথাক্রমে ২২, ২১ ও ১৮টি টেস্ট খেলবে।
এমন পরিস্থিতিতে পরের টেস্ট চক্রের (২০২৭-২৯) জন্য পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে আইসিসি। যেখানে চারদিনের টেস্টের অনুমতি দিতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।
তবে এমন প্রস্তাবের মধ্যেও আলাদা করে যেটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে, তা হলো আইসিসির ‘তিন মোড়ল’ নীতি। বাকি সবার জন্য চার দিনের টেস্টের নিয়মের কথা থাকলেও প্রস্তাবে তিন মোড়ল, অর্থাৎ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের জন্য আলাদা সুবিধা রাখার কথা বলা হয়েছে। সুবিধাটা হলো, এই তিন দল চাইলে নিজেদের মধ্যে পাঁচ দিনের টেস্ট খেলতে পারবে। অর্থাৎ, অ্যাশেজ, বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি, আর নতুন নাম পাওয়া টেন্ডুলকার-অ্যান্ডারসন ট্রফি (আগে যা ছিল পতৌদি ট্রফি) – এই সিরিজগুলো পাঁচ দিনের পাঁচটি টেস্টেরই হবে।
গত সপ্তাহে লর্ডসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের সময় আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ চারদিনের টেস্টের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন বলে জানাচ্ছে দ্য গার্ডিয়ান। এমন সিদ্ধান্তের মূল লক্ষ্য ছোট দলগুলো যাতে কম সময় ও কম খরচে বেশি টেস্ট খেলতে পারে।
কদিন আগেও চারদিনের টেস্টের দেখা মিলেছে। ট্রেন্ট ব্রিজে গত মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া ইংল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের টেস্টটি ছিল চার দিনের। ২০১৭ সালে প্রথমবার চারদিনের টেস্টকে অনুমোদন দিয়েছিল আইসিসি। এরপর ২০১৯ ও ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দুইটি চারদিনের টেস্ট খেলেছিল ইংল্যান্ড।
চারদিনের টেস্টে সময় ও আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দিনে ৯৮ ওভার খেলার বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে, যেখানে পাঁচদিনের ম্যাচে ছিল ৯০ ওভার।
আইসিসির বিশ্লেষণ, পাঁচ দিনের টেস্টে খরচ ও সময় অনেক বাড়তি লাগে বলে ছোট অনেক দল টেস্ট সিরিজ খেলতে আগ্রহী হয় না, হলেও সিরিজটা দুই – বড়জোর তিন – ম্যাচের হয়। টেস্ট চার দিনের হলে সে ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহেরও কম সময়ে তিন টেস্টের সিরিজ শেষ করে ফেলা যাবে, যা ছোট দলগুলোকে টেস্টের প্রতি আগ্রহী করতে পারে বলে মনে হচ্ছে আইসিসির।