দিনের পঞ্চম ওভারে আশিথা ফের্নান্দোর তৃতীয় বলে এলবিডাব্লিউ হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রবল আত্মবিশ্বাসে রিভিউ নিয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। জীবন পেলেও সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি শান্ত। ফের্নান্দোর পরের ওভারে মিড অফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দারুণ এক ক্যাচে বিদায় নেন দেড় শ-র পথে থাকা শান্ত (১৪৮)। এতে মুশফিক-শান্তর চতুর্থ উইকেট জুটি থেমে যায় ২৬৪ রানে।
অধিনায়ক আউট হলেও দিনের বাকি সময়ে আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। এক প্রান্ত আগলে দেড়শর পথে ছুটছেন মুশফিকুর রহিম (১৪১*)। অন্য প্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের স্কোর বাড়িয়ে নিচ্ছেন লিটন দাস (৫৭ বলে ৪৩*)। দুজনের বিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটিতে ৪ উইকেটে ৩৮৩ রানে দিনের প্রথম সেশন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় দিনের সকালের সেশনে খেলা হয়েছে ২৭ ওভার। এ সময়ে বাংলাদেশ ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৯১ রান। কিছুটা সৌভাগ্যের ছোঁয়াও পেয়েছেন মুশফিক-লিটন।! ইনিংসের ১০৮তম ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিকের জোরালো শটে ফিরতি বলে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি প্রবাথ জয়সুরিয়া। আরেকবার রানআউট হতে বসেছিলেন লিটন, কিন্তু লঙ্কান উইকেটকিপার ননস্ট্রাইকিং প্রান্তে থ্রো না করে স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প ভাঙায় বেঁচে যান।
থারিন্দু রত্মনায়েকের পরের ওভারের প্রথম বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন ১৪ রানে ব্যাটিং করা লিটন। তবে জোর চেষ্টা চালিয়েও ঠিকঠাক লুফে নিতে পারেননি নিশাঙ্কা। নতুন জীবন পেয়ে ওই ওভারের পরের ৩ বলেই ৪ মারেন লিটন। এরপর থেকে বাকিটা সময় আগ্রাসী ব্যাটিং করেই কাটিয়ে দেন ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।