লাগামটা নিজেদের হাতে রেখেই মধ্যাহ্নবিরতিতে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাবে হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ৩০ রানে পিছিয়ে ছিল লঙ্কানরা। কিন্তু বিরতির পর সব ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল। নির্দিষ্ট করে বললে, ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিলেন বাংলাদেশি বোলাররা।
দ্বিতীয় সেশনের ৭.২ ওভার আর ২০ রানের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার হাতে থাকা ৪ উইকেট শিকার করেন নাঈম হাসান ও হাসান মাহমুদ। শ্রীলঙ্কাকে প্রথম ইনিংসে ৪৮৫ রানের আটকে দিয়ে বাংলাদেশ লিড পেয়েছে ১০ রানের।
শ্রীলঙ্কার শেষ ৪ উইকেটের ৩টিই নিয়েছেন নাঈম। সব মিলিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন ডানহাতি এ স্পিনার।
অথচ লাঞ্চের আগেও খেটে মরেছে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে ২ উইকেট আদায় করলেও কামিন্দু মেন্ডিস আর মিলান রত্নানায়েক জুটি গড়ে ম্যাচটা নিজেদের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে লাঞ্চের পর দ্রুতই একের পর এক উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারে মিলানকে (৩৯) ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন হাসান মাহমুদ। একইসঙ্গে ভেঙে যায় মিলান-কামিন্দুর ৮৪ রানের জুটি। এরপরও বাংলাদেশের গলার কাঁটা হয়ে ছিলেন কামিন্দু। পরের ওভারের প্রথম বলেই কামিন্দুকে (৮৭) ফিরিয়ে সে কাঁটাকে সরিয়ে দেন নাঈম হাসান। একই ওভারের শেষ বলে থারিন্দুকে ড্রেসিংরুমের পথ ধরান এ স্পিনার। আর ইনিংসের ১৩২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শিকার করেন আশিথা ফের্নান্দোকে। এতে অবিশ্বাস্যভাবে ১০ রানের লিড পেয়ে যায় বাংলাদেশ।