হাতে ৭ উইকেট আর ১৮৭ রানের লিড নিয়ে গল টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সকালের সেশনের খেলা এক ঘণ্টা পেরোতেই বৃষ্টি নামে গলে। ঘণ্টা তিনেক বন্ধ থাকে ম্যাচ। তবে বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার ঠিক আগের বলে রান আউট হন ৪৯ রানে থাকা মুশফিকুর রহিম। এতে ১০৯ রানে থেমে যায় মুশফিক-নাজমুল হোসেন শান্তুর চতুর্থ উইকেট জুটি।
মুশফিক ফিফটির আক্ষেপে পুড়লেও বৃষ্টির পর ঠিকই নিজের সেঞ্চুরি আদায় করেছেন শান্ত (১২৪)। তাতে রেকর্ড বইয়ে উঠেছে বাংলাদেশ অধিনায়কের নাম। প্রথম ইনিংসেও তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন শান্ত (১৪৮)। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দুবার একই টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করার বিরল কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশি অধিনায়ক।
এর আগে ২০২৩ সালে মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই (১৪৬ ও ১২৪) সেঞ্চুরি করেন শান্ত। আর একবার একই টেস্টে দুবার সেঞ্চুরি করার কীর্তি আছে মুমিনুল হকের (২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭৬ ও ১০৫)।
শান্তর মাইলফলকের দিনে ২৮৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। তাতে শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ২৯৬ রান। কাগজেকলমে আজ দিনের ৩৯ ওভার বাকি আছে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৪৯৫ রান করার পর লঙ্কাকে ৪৮৫ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। আজ ১৭৭ রানে দিন শুরু করার পর বৃষ্টির আগে ২৩৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রবাথ জয়সুরিয়ার করা ওভারের শেষ ডেলিভারি মিডঅনে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন মুশফিক। কিন্তু রান সম্পন্ন হওয়ার আগেই ফিল্ডার থারিন্দুর সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভাঙে। ফিফটি থেকে ১ রান দূরে থেকে মাঠ ছাড়েন মুশফিক।
বৃষ্টির পর নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস (৩) তেমন সুবিধা করতে পারেননি। থারিন্দুর স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়েছেন মুখোমুখি পঞ্চম বলে। সাতে নামা জাকের আলীও সাত বলের বেশি টিকতে পারেননি। থারিন্দুর আরেকটি দারুণ ডেলিভারিতে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে বলে করতে পারেননি। সহজেই স্টাম্পিং করেন কুশল মেন্ডিস।
এরপর নাঈমকে সঙ্গে নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি পূরণ করার দুই ওভার পর ইনিংসের সমাপ্তির ঘোষণা দেন শান্ত।