২৪৯ রানের লক্ষ্যে নেমে তানভীর ইসলামের স্পিনে ১৭০ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শ্রীলঙ্কা। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন এই বাঁহাতি স্পিনার। কিন্তু বাংলাদেশের লক্ষ্য লঙ্কানদের ইনিংসের শুরুতে যথেষ্ট মনে হলেও শেষ দিকে জানিথ লিয়ানাগের ইনিংসে হারের শঙ্কা জেগেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে চিন্তা মুক্ত করেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ৭ বল থাকতেই ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ১৬ রানের জয়ে সিরিজ সমতায় মেহেদী হাসান মিরাজের দল।
ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খায় লঙ্কানরা। দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ৫ রান করে তানজিম সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট পাওয়া বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে স্বাগতিকদের চাপে রাখতে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় উইকেটে ক্রিজে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করেন কুশল মেন্ডিস।
সাকিব-হাসানদের একের পর এক বাউন্ডারি ছাড়া করে অষ্টম ওভারেই দলীয় পঞ্চাশ পার করে শ্রীলঙ্কা। আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকা মেন্ডিস ৯ চার ও ১ ছক্কায় ২০ বলে নিজের ফিফটির দেখাও পেয়ে যান। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বাংলাদেশকে স্বস্তিতে ফেরান স্পিনার তানভীর ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনারের বল ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেলতে গিয়ে মিস টাইম শটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১৭ রান করা ওপেনার নিশান মাদুস্কা।
দলীয় ৭৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় লঙ্কানরা। পাওয়ার প্লের পর আগ্রাসী কুশল মেন্ডিসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তানভীরের স্পিনে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। মেন্ডিসের বিদায়ের পর ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাও। শামীম হোসেনের বলে মাত্র ৬ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন লঙ্কান অধিনায়ক।
দলীয় ৯৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। পঞ্চম উইকেটে জানিথ লিয়ানাগের সঙ্গে কামিন্দু মেন্ডিস দলের হাল ধরেন। কিন্তু মাঝ ওভারে লঙ্কানদের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে দেননি স্পিনার তানভীর ইসলাম। ইনিংসের ২৬তম ওভারে কামিন্দু মেন্ডিসকে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে ফেরান তানভীর।
দলীয় ১২৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা ম্যাচ থেকে এক প্রকার ছিটকে যায়। তানভীরের স্পিন সামলাতে ব্যর্থ স্বাগতিকরা ১৭০ রানের ভেতর ৮ উইকেট হারিয়ে বসে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলা তানভীর প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন।
ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়া লঙ্কানদের তখনো আশার আলো হয়ে ক্রিজে ছিলেন জানিথ লিয়ানাগে। দলের হারের ব্যবধান কমানোর সঙ্গে শেষ দিকে বাংলাদেশের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমানের কাটারে দলের জয় থেকে লঙ্কানরা যখন আর ২১ রান দূরে তখন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিয়ানাগে। ৭৮ রান করা লিয়ানাগের বিদায়ের পর লঙ্কানদের শেষ উইকেট তোলে নেন তানজিম সাকিব। ৭ বল আগেই ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ১৬ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ।