প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার লড়াইকে ‘শেয়ানে-শেয়ানে’ লড়াই বানিয়েছিল আর্সেনাল, লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি। আজ এক দল এগিয়ে যাচ্ছে তো, কাল আরেক দল। কেউ যেন কাউকে এক চুলও ছাড় দিতে নারাজ। কিন্তু গতকালের ম্যাচ দেখে মনে হচ্ছে, তিন মোড়লের মধ্যে দুজনই চাচ্ছে, শিরোপাটা সিটির হাতেই উঠুক।
লিগের ৩২তম রাউন্ডে পরশু লুটন টাউনকে ৫-১ গোলে হারিয়ে দুই পয়েন্টের ব্যবধানে তালিকার শীর্ষে উঠেছিল সিটি। তালিকার দুই ও তিনে থাকা আর্সেনাল ও লিভারপুলের সামনে সুযোগ ছিল নিজ নিজ ম্যাচ জিতে সিটিকে টপকে যাওয়ার। কিন্তু গতকাল অ্যানফিল্ডে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে গোল মিসের মহড়া দিয়ে শেষমেষ ১-০ গোলে হেরে বসেন সালাহ-নুনিয়েসরা।
এতে আর্সেনালের সামনে সুযোগ ছিল, অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে এককভাবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ওঠার। কিন্তু কীসের কী? উল্টো ২-০ গোলে ম্যাচ হেরে বসে আছে মিকেল আরতেতার শিষ্যরা। লিভারপুলের মতো আর্সেনালও হেরেছে ঘরের মাঠে। একইদিনে দুই দলই যেন সিটিকে শীর্ষে রাখার পণ করে মাঠে নেমেছিল!
দুই জায়ান্টের পা হড়কানোয় ৩২ ম্যাচ শেষে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই গার্দিওলার শিষ্যরা। সমান ম্যাচে সমান ৭১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পরের দুই স্থানে যথাক্রমে আর্সেনাল ও লিভারপুল। লিগের বাকি থাকা ৬ ম্যাচে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ ম্যান সিটির। তারওপর দুই প্রতিপক্ষের এমন বদান্যতায় শিরোপার পথ আরও সহজ হয়ে উঠলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
অপটার বিশ্লেষণ জানাচ্ছে, গতকালের ম্যাচের পর সিটির শিরোপা জয়ের সুযোগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ শতাংশে। যেখানে আর্সেনালের সুযোগ কমে হয়েছে ১৮%, লিভারপুলের ১২%।
গতকাল অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে বল দখলের লড়াই কিংবা আক্রমণ, দুই জায়গাতেই এগিয়ে ছিল আর্সেনাল। কিন্তু একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন সাকা-জেসুসরা। ম্যাচের সময় গড়ানোর সঙ্গে চাপ বাড়তে থাকে আর্তেতার শিষ্যদের ওপর। সে চাপেই কিনা শেষদিকে ভেঙে পড়ল আর্সেনালের জমাট রক্ষণ।
যার সুযোগ নিয়ে ম্যাচের ৮৪ মিনিট ভিলাকে এগিয়ে দেন লিওন বেইলি। তিন মিনিট পরে আবারও গোল হজম করে বসে আর্সেনাল। দারুণ ফিনিশিংয়ে ভিলার স্কোরলাইন দ্বিগুণ করেন ওলি ওয়াটকিন্স। এতে সবশেষ ১২ লিগ ম্যাচে প্রথম হার নিশ্চিত হয় আর্সেনালের।
মৌসুমের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে খেই হারানোর পরও নিজেদের সামর্থ্যের ওপর আস্থা রাখছেন মিকেল আর্তেতা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানতাম এমন সময় আসতে পারে। এখন দেখার, আমরা কীভাবে ঘুরে দাঁড়াই। এখন সময় বিশ্বাস রাখার, আমরা যা করতে পারি, সেটা করার।’