চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ইউরোপা কনফারেন্স লিগ ফাইনাল ও দুই একটি ঘরোয়া কাপ ফাইনালই শুধু বাকি। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে এই মৌসুমের ছুটি তাই শুরু হয়ে গেছে। অন্তত শীর্ষ লিগগুলোর ক্ষেত্রে এটাই সত্যি। গতকাল স্পেন ও ইতালিতে লিগ শেষ হয়েছে। ইংল্যান্ডে এফএ কাপের ব্যস্ততাও শেষ।
ঘরোয়া ফুটবলের শেষ ব্যস্ততায় ইউরোপে বেশ কিছু রেকর্ড হতে দেখা গেছে। তার কিছু অনন্য অর্জনের, আর কিছু চরম ব্যর্থতার।
১৩
ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে ১৩তম এফএ কাপ জিতেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। রেড ডেভিলদের এটি ১৩তম এফএ কাপ। এই টুর্নামেন্ট তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু আর্সেনাল (১৪)।
রোনালদোর পাশে
সিটিকে হারানোর পথে ইউনাইটেডের দুই গোল করেছেন ক্লাবের দুই কিশোর আলেহান্দ্রো গারনাচো ও কোবি মাইনু। এফএ কাপের ফাইনালে ইউনাইটেডের জার্সিতে আর আগে মাত্র দুজন কিশোর গোল করেছিলেন নরমান হোয়াইটসাইড (০১৯৮৩) ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (২০০৪)।
অদ্বিতীয়
এই প্রথম কোনো এফএ কাপ ফাইনালে দুজন ভিন্ন কিশোরকে গোল করতে দেখা গেল।
৪৭৪তে শেষ
টাইব্রেকারকে হিসেব থেকে বাদ দিলে সিটির জার্সিতে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে টটেনহামের বিপক্ষে হেরে যাওয়ার পর আর হারের দেখা পেতে হয়নি মিডফিল্ডার রদ্রিকে। এফএ কাপের ফাইনালে সে ধারা থেমেছে। ৭৪ ম্যাচ ও ৪৭৪ দিন পর সিটির জার্সিতে হারতে হলো রদ্রিকে।
৯ এ ০
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে এ পর্যন্ত ছয়টি ফাইনাল ও তিনটি সেমিফাইনাল খেলেছেন আর্লিং হরলান্ড। এবং কোনো ম্যাচেই গোল পাননি তিনি। এই নয় ম্যাচে ৭৬১ মিনিট মাঠে ছিলেন তিনি। মজার ব্যাপার, ইউনাইটেডের মার্কাস রাশফোর্ডও এখন পর্যন্ত নয়টি ফাইনাল খেলে মাত্র একটি গোল পেয়েছেন।
১৫ বছর পর
২০০৯ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে খেলা দিয়েগো ফোরলান লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েছিলেন। এরপর লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরার হয় বার্সেলোনা বা রেয়াল মাদ্রিদে খেলতেন। এই মৌসুমে জিরোনার জার্সিতে ২৪ গোল করে পিচিচি জিতেছেন ইউক্রেনের আর্তেম দভবিক।
৯১২
লেস্টার সিটিকে নিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার জেতা ক্লদিও রানিয়েরি অবসর নিয়েছেন। শীর্ষ পর্যায়ে তাঁর (৯১২) চেয়ে বেশি ম্যাচ কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন শুরু আর্সেন ওয়েঙ্গার।