রেয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হার মেনে নিতে এমনিতেই কষ্ট হয় দিয়েগো সিমেওনের। বায়ার্ন মিউনিখের পর কোনো নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশিবার চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউটে হেরে যাওয়ার রেকর্ড গড়ার পর নিজের রাগ আর ঢেকে রাখার চেষ্টা করেননি আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ। আর হারটাও যে এসেছে টাইব্রেকারে।
গতকাল পেনাল্টি শ্যুটআউটে হুলিয়ান আলভারেসের পা পিছলে যায়। তবু আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বল জালে পাঠাতে পেরেছিলেন। কিন্তু ভিএআর জানায় বলে শট নেওয়ার আগে বাঁ পায়ের স্পর্শ পেয়েছে বল। দুবার স্পর্শ হওয়া সে শট বাতিল হয়।
এই শটের পর মার্কোস ইয়োরন্তের শটও ক্রসবারে লাগলে পেনাল্টিতে ৪-২ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে চলে গেছে মাদ্রিদ। আর আতলেতিকো ফুসছে ক্ষোভে।
রেফারি শেমন মারচিনিয়াকের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিমেওনে, ‘আমি কখনো দেখিনি শ্যুটআউটে পেনাল্টির জন্য ভিএআরকে ডেকে রিভিউ নেওয়া হচ্ছে… কখনো না! আপনারা কেউ কি ওকে (আলভারেস) দুবার বল স্পর্শ করতে দেখেছেন? স্টেডিয়ামে ছিলেন এবং ওকে দুবার বল স্পর্শ করতে দেখেছেন, বল নড়তে দেখেছেন, দয়া করে হাত তুলুন। আমি তো কাউকে হাত তুলতে দেখছি না। আমার এটুকুই বলার আছে… পরের প্রশ্ন করুন।’
মাদ্রিদের বিপক্ষে এমন মন খারাপ করা হারের পরও বিশ্রামের সুযোগ নেই। আগামী রোববার বার্সেলোনার বিপক্ষে লা লিগায় খেলা আছে আতলেতিকোর। লা লিগার শীর্ষ তিন দলের মধ্যে ১ পয়েন্টের ব্যবধান। এক ম্যাচ কম খেলে আতলেতিকোর চেয়ে এক পয়েন্টে এগিয়ে থাকা বার্সার বিপক্ষে ম্যাচটি কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানেন সিমেওনে।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনেই এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সিমেওনে, ‘এই হার আমাদের ক্ষতি করে কিনা, সেটা পরে দেখা যাবে। যেভাবে বাদ পড়লাম সেটা হজম করা কঠিন। রোববার খুব ভালো এক প্রতিপক্ষ আমাদের সামনে। আমি নিশ্চিত বার্সা চাচ্ছিল খেলা যেন অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। আমরা ক্লান্ত অবস্থায় ওই ম্যাচ খেলব, আজ রাতে যেভাবে লড়েছি তারপর অনেকটাই পরাজিত মনোভাব নিয়ে। তবু রোববার আমরা সবটুকু দিয়ে খেলব।’