বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে পেয়েছে ব্রাজিল। রাফিনিয়া-ভিনিসিয়ুসের গোলে সেলেসাওরা জয় পেলেও বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেই ম্যাচ নিয়ে। বিতর্কটা অবশ্য ব্রাজিলের ম্যাচ জয়ে নিয়ে নয়, বরং দলটির খেলোয়াড় বদলের সংখ্যা নিয়ে।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান কোচ দরিফাও জুনিয়র ম্যাচে ৭টি পরিবর্তন এনেছে। যা নিয়ে মাঠেই কলম্বিয়ান ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ম্যাচ অফিসিয়ালদের ব্যাখ্যা মেনে নেয় কলম্বিয়া।
ম্যাচে যখন ১-১ ব্যবধানে সমতা, তখন ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসন বেকার ও কলম্বিয়ার ডিফেন্ডার দাভিনসন সানচেসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুজনই আঘাত নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ব্যথা পাওয়ায় দুজনের কেউই খেলা চালিয়ে যেতে পারেননি।
এদিকে ব্রাজিল ম্যাচের ২৮তম মিনিটে আরেকটি বদল করে রেখেছিল। যেখানে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মিডফিল্ডার গেরসন, তার বদলি হিসেবে নামেন জোয়েলিনতন।
ফলে ৭১তম মিনিটে আলিসনও চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে ব্রাজিলের দুই বদলি ফুটবলারের নামের পাশে কনকাশন সাব শব্দটি যুক্ত হয়ে যায়। আর এখানেই ব্রাজিলের কোচ দরিফাও জুনিয়র নিয়মের ভেতরে থেকে সুযোগ লুফে নেন।
২০২৪ সাল থেকে ফিফার নিয়মানুযায়ী, ফুটবলার কনকাশন সাব (মাথায় চোট পেয়ে) হয়ে মাঠ ছাড়লে তাঁর পরিবর্তে বাড়তি বদলি ফুটবলার মাঠে নামানো যাবে। সেই নিয়মে আরও বলা আছে, এক দলের কোনো ফুটবলার চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে সেই দলের কোচ যদি বাড়তি বদলি ফুটবলার মাঠে নামায় সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষের দলের কোচও আরেকটি বাড়তি বদল করতে পারবে।
ব্রাজিলের কোচ দুজন বাড়তি বদলি ফুটবলারের সুযোগটি কাজে লাগান ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে ভেন্ডারসনের পরিবর্তে ওয়েসলিকে মাঠে নামিয়ে। যেটি ছিল ব্রাজিলের ষষ্ঠ বদল। ম্যাচের একদম শেষ দিকে যখন ব্রাজিলের ২-১ গোলে জয়ে নিশ্চিত, তখন অতিরিক্ত সময়ে সপ্তম বদল হিসেবে ভিনিসিউসকে তুলে ডিফেন্ডার অরচিসকে নামান দরিফাও জুনিয়র।
ব্রাজিলের কোচ নিয়মের ভেতরে থেকে সুযোগের ব্যবহার করলেও কলম্বিয়ান কোচ তা করেননি। ২-১ গোলের জয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে উঠে এসেছে ব্রাজিল। ১৩ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট তাদের।
এক ম্যাচ কম খেলা আর্জেন্টিনা ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে।