আজ চ্যাম্পিয়নস লিগে কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি রেয়াল মাদ্রিদ ও আর্সেনাল। শেষ কবে চ্যাম্পিয়নস লিগে এ দুই দলের ম্যাচ দেখা গেছে, এমন প্রশ্নে একটু ভাবতে হচ্ছে সবাইকে।
২০০৬ সালে সর্বশেষ ইউরোপে দেখা হয়েছে দুই দলের। অবশ্য ইউরোপিয়ান এই প্রতিযোগিতায় দুই দল শুধু সেবারই মুখোমুখি হয়েছিল!
তবে প্রথম দেখাতেই আর্সেনাল এমন কিছু করেছিল যা অন্য ইংলিশ দল কখনো করতে পারেনি আগে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলতে গিয়ে জয় নিয়ে ফিরেছিল তারা। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ম্যাচের স্কোরলাইন যে ১-০তে আটকে গিয়েছিল এর কৃতিত্ব মাদ্রিদ গোলকিপার ইকার ক্যাসিয়াসের।
৯ মার্চ দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে গোল করতে পারেনি কেউ। দুই লেগ মিলিয়ে পরের রাউন্ডে চলে যায় আর্সেনাল।
সে ম্যাচের পর আর দেখা হয়নি দুই দলের। আর্সেন ওয়েঙ্গার বিদায় নেওয়ার পর বহুদিন চ্যাম্পিয়নস লিগে দেখা যায়নি আর্সেনালকে, এটা একটা কারণ। অবশ্য ওয়েঙ্গার যুগেও বেশ বড় একটা সময় মাদ্রিদের মুখোমুখি হওয়া হয়নি আর্সেনাল।
আর এ সময়ে পৃথিবী অনেক বদলে গেছে। কী কী সে পরিবর্তন? ২০০৬ সালে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছিল ৬৬৬ কোটির একটু বেশি। সে জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়িয়ে এখন ৮২৩ কোটিতে ঠেকেছে।
সে ম্যাচে খেলা দুই ফ্রান্স সতীর্থ জিনেদিন জিদান ও থিয়েরি অরি স্বাভাবিকভাবেই অবসর নিয়েছেন। জিদান এর মধ্যে দুই দফা মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব পালন করে দুটি লিগ ও তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। অরি অবসরের আগে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে ট্রেবল জিতেছেন।
আর্সেনালের নতুন কিশোর তারকা ফরোয়ার্ড মাইলস লুইস-স্কেলির জন্ম হয়েছে ২০০৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। আর আর্সেনালের বিস্ময়বালক বললে যার নাম আসতে বাধ্য, কোনো ম্যাচ না খেলেই ইংল্যান্ডের ২০০৬ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া সেই থিও ওয়ালকটের আর্সেনালে অভিষেক হয়েছিল ১৯ আগস্ট। আর্সেনাল ছেড়ে এভারটন হয়ে সাউদাম্পটনে ফেরা ওয়ালকট গত আগস্টে অবসরও নিয়ে ফেলেছিলেন।
২০০৬ সালে টিকটক ও ইনস্টাগ্রাম বলে কিছু ছিল না। অবশ্য থাকলেও এ পরিমাণ জনপ্রিয় হওয়ার সুযোগও পেত না। তখনো যে আইফোনের আবির্ভাব ঘটেনি!
মেসি ও রোনালদো তখনো ইউরোপ শাসন করা শুরু করেননি। রোনালদো এরপর মাদ্রিদে যোগ দিয়েছেন, মেসির সঙ্গে সর্বকালের সেরা দ্বৈরথের জন্ম দিয়েছেন। দুজন ইউরোপ ছেড়ে এখন ভিন্ন মহাদেশে।
আর ইংল্যান্ডে লেস্টার সিটি ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর থেকে তৃতীয় স্তরে নেমেছিল। তারপর আবার প্রথম স্তরে উঠে লিগ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে। তারপর আবার অবনমিত হয়ে আবার ফিরেছে প্রিমিয়ার লিগে। অথচ আর্সেনাল প্রিমিয়ার লিগ জিততে পারেনি।