২০১০ সালে আয়াক্সে খেলার সময় পিএসভি স্ট্রাইকার উসমান বাক্কালকে কামড় দিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন লুইস সুয়ারেস। ওই ঘটনায় সাত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার। সে নিষেধাজ্ঞা সুয়ারেসকে বদলাতে পারেনি। পরবর্তীতে আরও দুবার একই ‘কীর্তি’ করে বসেন তিনি।
২০১৩ সালে চেলসির ব্রানিসলাভ ইভানোভিচকে কামড়ে দেওয়ার ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির ডিফেন্ডার কিয়েলিন্নির কাঁধে কামড় দিয়ে বসেন সুয়ারেস। এ দুই ঘটনায় যথাক্রমে ১০ ম্যাচ ও ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হন।
শেষ বার কামড়ের এক দশকের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ায় মনে হয়েছিল, সুয়ারেস বোধহয় ‘ভালো’হয়ে গেছেন, আর কাউকে কামড় দেবেন না। কিন্তু সে ভাবনা আবারও ভুল প্রমাণিত করেছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। এবার প্রতিপক্ষ নয়, সতীর্থ ইয়র্দি আলবাকেই কামড় দিয়েছেন সুয়ারেস!
শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে এমনটাই দেখা গেছে। পরবর্তীতে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার এক প্রতিবেদনেও কামড়ের বিষয়টি উঠে এসেছে।
ঘটনা গত ১০ এপ্রিলের। কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচে সেদিন লস অ্যাঞ্জেলসের বিপক্ষে খেলতে নামে মায়ামি। টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটিতে মেসির জোড়া গোলে অ্যাঞ্জেলসকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফ্লোরিডার ক্লাবটি।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, লস অ্যাঞ্জেলস ডিফেন্ডার মারলন সান্তোসের এক ট্যাকলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুদলের খেলোয়াড়রা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে হাতাহাতিও শুরু হয়। এমন জটলার মধ্যে সতীর্থ আলবার কাঁধে হাত দিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করছিলেন সুয়ারেস।
কিন্তু আলবার কাঁধে হাত রাখার সময় ঘাড়ে জোরে চাপ দিয়েছিলেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার। আলবা যে তাতে ব্যথা পেয়েছেন, সেটা তার অভিব্যক্তিতেই স্পষ্ট ছিল। ব্যথায় কোঁকড়ানোর সময় আলবার হাত গিয়েছিল সুয়ারেসের মুখের সামনে, আর সুযোগ বুঝে আঙুলে কামড় দিয়ে বসেন সুয়ারেস! এ সময় প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকার অলিভিয়ের জিরু এসে সুয়ারেসের কাছ থেকে আলবাকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।