চোট সারিয়ে মাত্রই ফিরেছেন নেইমার। এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো সান্তোসের একাদশে নেমেছেন কাল। কিন্তু ম্যাচের ৩৪ মিনিট যেতে না যেতেই চোট পেয়ে আবার কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছেন নেইমার।
ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে পায়ের পেছনে চোট পেয়ে ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিলেন নেইমার। তাঁকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে হয়েছিল ব্রাজিলকে। কিন্তু আজকের ঘটনার পর বাছাইপর্ব তো বটেই, ২০২৬ বিশ্বকাপেও নেইমারের খেলা নিয়ে ঘোর সন্দেহ জাগছে।
গতকাল স্থানীয় সময় বুধবার আতলেতিকো মিনেইরোর বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন নেইমার। সান্তোসের ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে ১০০তম ম্যাচ বলে বিশেষ ১০০ লেখা জার্সি পরে নেমেছিলেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। ২৭ মিনিটের মধ্যে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল।
কিন্তু দ্বিতীয় গোলের পরই বেঞ্চের দিকে ইশারা করে নেইমার জানান চিকিৎসক দলের সাহায্য দরকার তাঁর। কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যায়, নেইমারের পক্ষে আর খেলা সম্ভব না। যে বাঁ উরুর চোট তাঁকে ছয় সপ্তাহ বাইরে রেখেছিল, সেখানেই নতুন করে চোট পেয়েছেন নেইমার।
ম্যাচ শেষে সান্তোস কোচ সিজার সাম্পাইও বলেছেন, ‘এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলার সময় হয়নি, ডায়াগনোসিস হয়নি। এখন শুধু প্রার্থনা করতে হবে যেন দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে থাকার মতো কিছু না হয়।’
চোট সমস্যায় সৌদি ক্লাব আল হিলালে দেড় বছরে মাত্র ৭ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন নেইমার। এ কারণে শৈশবের ক্লাবে ফিরেছেন এই মৌসুমে। এখন পর্যন্ত চোট তাঁকে মাত্র ৮ ম্যাচ খেলতে দিয়েছে। তাতে ৩ গোল করেছেন।
এদিকে নতুন করে পাওয়া চোটে নেইমারের ব্রাজিল দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা জাগছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে ব্রাজিল দলে দেখা যাচ্ছে না তাঁকে।