শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে জিতলেই পরের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ খেলা নিশ্চিত- এমন সমীকরণ নিয়ে ঘরের মাঠ টার্ফ মুরে খেলতে নেমেছিল বার্নলি। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে জস ব্রাউনহিলের জোড়া গোলে ২-১ ব্যবধানে জিতে সে সমীকরণ মিলিয়েছে স্কট পার্কারের শিষ্যরা। আর হামজার শেফিল্ডের সরাসরি প্রিমিয়ার লিগ খেলার আশা শেষ হয়ে গিয়েছে।
দলের এমন উপলক্ষ্যে স্বাভাবিক ভাবেই বার্নলি ভক্ত-সমর্থকদের আনন্দে দিশেহারা হওয়ার কথা। হয়েছেও সেটাই। ম্যাচ শেষ হতেই সমর্থকেরা নেমে পড়েন মাঠে। খেলোয়াড়দের সঙ্গে অংশ নেন উদযাপনে। কিন্তু সেই উদযাপনের এক পর্যায়ে শেফিল্ডের বাংলাদেশি তারকা মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বার্নলি সমর্থকেরা। বার্নলি মিডফিল্ডার এগান-রাইলিকেও হামজাকে উদ্দেশ করে কিছু বলতে দেখা যায়। ক্ষুব্ধ হামজাও প্রতিক্রিয়া দেখাতে ছাড়েননি। এক পর্যায়ে হামজাকে অনেকটা জোর করেই মাঠ থেকে নিয়ে যান নিরাপত্তা কর্মীরা।
বার্নলির বিপক্ষে পুরো ম্যাচেই দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশি মিডফিল্ডার। তবে কি সে কারণেই বার্নলি সমর্থকদের লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি?
ঠিক কী বলা হয়েছে হামজাকে, কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ইংলিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল, বা দ্য সানও এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি। তবে অনেকের শঙ্কা, হামজাকে উদ্দেশ করে হয়তো বর্ণবাদী কোনো কথা বলা বা অঙ্গভঙ্গি করা হয়েছে।
হামজার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ম্যাচ শেষে হামজা যখন মাঠের বাইরে যাচ্ছিলেন, বার্নলি সমর্থকেরা পেছন থেকে হামজাকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করতে থাকেন। এ সময় হামজকে ক্ষিপ্ত অবস্থায় দেখা যায়। একজন বার্নলি সমর্থক হামজার সামনে উদযাপন করে বাংলাদেশি মিডফিল্ডারকে আরও তাতিয়ে দেন।
স্কাই স্পোর্টসের এক ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশসহ নিরাপত্তাকর্মীরা এসে হামজাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাগে ফুঁসতে থাকা বাংলাদেশি মিডফিল্ডারকে সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের। এমনকি নিরাপত্তাবলয় ভেদ করে বার্নলি সমর্থকদের দিকে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন হামজা। অনেকটা জোর করেই এক নিরাপত্তা কর্মী হামজাকে টেনে টানেলের ভেতর নিয়ে যান।