স্যার জিম র্যাটক্লিফ ক্লাবের মালিকানার অংশ কেনার পর থেকেই চাকরি নিয়ে সংশয়ে পড়ে গেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কর্মীরা। র্যাটক্লিফ প্রশাসনের সর্বশেষ শিকার ম্যারি ম্যারন। ৪৭ বছর ধরে ইউনাইটেডের সঙ্গে থাকা উয়েফা ও প্রিমিয়ার লিগ লিয়াজোঁকে বলে দেওয়া হয়েছে, এই মৌসুম শেষেই বিদায় নিতে হবে তাঁকে।
গত ডিসেম্বরের রিসেপশনিস্ট ক্যাথ ফিপসের মৃত্যুর পর ম্যারনই ছিলেন ইউনাইটেডের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি কর্মচারী। ১৯৭৮ সালে সর্বপ্রথম রেড ডেভিলদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ম্যারি। কিন্তু সম্প্রতি তাঁকে ডেকে এক মিটিংয়ে বলে দেওয়া হয়, এই মৌসুম শেষে ‘তিনি চলে যাবেন’ বলে আশা করে ক্লাব।
৪৭ বছরের সম্পর্ক এভাবে শেষ হওয়ার খবরে মন খারাপ হলেও নিজের দ্বায়িত্ব ঠিকভাবেই পালন করছেন ম্যারি। গত সপ্তাহে ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিপক্ষেও তাঁকে দেখা গেছে। এই মাসের পরও অবশ্য আর দেখা যাবে না তাঁকে।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি ইউনাইটেডের মালিকানার ২৫% এবং ক্লাবের ফুটবলীয় দিক পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন র্যাটক্লিফ ও তাঁর প্রতিষ্ঠান আইএনইওএস। এরপর থেকেই ইউনাইটেড সংশ্লিষ্টরা চাকরি হারাতে শুরু করেছেন। বর্তমানে ইউনাইটেডের অধীনে ৭০০জন চাকরি করছেন। অথচ র্যাটক্লিফ দায়িত্ব নেওয়ার আগে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৫০। অর্থাৎ মাত্র এক বছরে সাড়ে পাঁচ শ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন।
প্রথমে একবারেই আড়াই শ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। পরের ধাপে আবার ২০০ কর্মী হারিয়েছেন তাঁদের চাকরি। এর বাইরেও অনেক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বহুদিন ধরে আছেন, এমন কর্মীরাই চাকরি হারাচ্ছে বেশি।
গত মার্চে এক সাক্ষাৎকারে এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে র্যাটক্লিফ বলেছিলেন, ‘খরচ নাগালের একদম বাইরে চলে গেছে। যদি খুব সাধারণভাবেও চিন্তা করেন, পরিচালন ব্যয় আছে, যেখানে কর্মচারীরা পড়ে। ব্যবসা চালনার স্থায়ী খরচ আছে। এরপর আছে স্কোয়াডের খরচ, খেলোয়াড়ের বেতন, খেলোয়াড় কেনার খরচ। একদম সহজ করে বললে গত সাত বছর ধরে যত আয় করছে, তারচেয়ে বেশি ব্যয় করছে ক্লাব এবং এতে খুব কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছি আমরা। আর এ বছর একদম তলানিতে চলে গেছে ইউনাইটেড, ২০২৫ এর শেষে সব অর্থ শেষ হয়ে যাবে ক্লাবের।’