এবারের লা লিগা বার্সেলোনাই জিতছে- এ নিয়ে খুব কম সমর্থকের মনেই সন্দেহ ছিল। সপ্তাহের শুরুতে এল ক্লাসিকোতে ৪-৩ গোলে রেয়াল মাদ্রিদ হেরে বসায় ৭ পয়েন্টে এগিয়ে যায় কাতালানরা। গতকাল মাদ্রিদ পয়েন্ট খোয়ালেই ৩ ম্যাচ হাতে রেখে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত বার্সেলোনা।
সেটাই হবে বলে মনে হচ্ছিল। মায়োর্কা গোলকিপার লিও রোমানের ক্যারিয়ারের সেরা দিনে ঘরের মাঠে ৯৫ মিনিট পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতা ছিল। পুরো ম্যাচে গোলমুখে ১২টি শটের ১১টিই ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন এই গোলকিপার। রেফারি শেষ বাঁশি বাজাবেন, ঠিক এই মুহূর্তে হাকোবো রামোনোর গোলে ২-১ ব্যবধানের জয় পায় মাদ্রিদ।
মাদ্রিদের জয়ে অন্তত একদিনের জন্য হলেও বার্সেলোনার শিরোপা উৎসব পিছিয়ে গেল। আজ এস্পানিওলের বিপক্ষে জিতলেই ২৮তম লা লিগা বুঝে পাবে কাতালান ক্লাব।
গতকাল ঘরের মাঠে বড় পরীক্ষা দিতে হয়েছে মাদ্রিদকে। চোট ও নিষেধাজ্ঞা মিলে মূল স্কোয়াডের ১১ জনকে পেয়েছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। আর্দা গুলাশ, দানি সেবায়োস, এন্দরিকের মতো সুযোগের অপেক্ষায় থাকা ফুটবলারদের তাই একাদশে রাখতে বাধ্য হয়েছেন আনচেলত্তি।
রাইটব্যাক হিসেবে ফেদে ভালভার্দেকে নামাতে হয়েছে। মিলিতাও এবং আলাবার চোটের কারণে এই মৌসুমেই অ্যাকাডেমি থেকে মূল স্কোয়াডে ঢোকা রাউল আসেনসিও ছিলেন চোটমুক্ত একমাত্র সেন্টারব্যাক। তাঁর সঙ্গে রক্ষণে দায়িত্ব পান অ্যাকাডেমি-সঙ্গী হাকোবো রামন। সেই রামনই ৯৫ মিনিটে দলকে এনে দিয়েছেন জয়।
ম্যাচ শেষে তাই তৃপ্তির কথা জানিয়েছেন বিদায়ী কোচ, ’১২ জন খেলোয়াড় চোটে পড়া, এটা বিরল কিছু। এর পরও আমরা হাল ছাড়িনি। দলের ইতিবাচক মনোভাব এবং যারা নেমেছিল তাদের ভালো পারফরম্যান্সের কারণেই জয় এসেছে। আমি কখনো কোনো দলকে গোলে আজকের মতো ৪০টি শট (৩৯টি) নিতে দেখিনি।’
ম্যাচের ১১ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে মাদ্রিদ। প্রথমার্ধেই এমবাপ্পে-বেলিংহামদের ৫টি শত ঠেকিয়েছেন মায়োর্কা গোলকিপার। দ্বিতীয়ার্ধের ২৩ মিনিটে কাছের পোস্টে আর ঠেকাতে পারেননি এমবাপ্পেকে। কিন্তু এরপর আর গোলের দেখা পাচ্ছিল না মাদ্রিদ।
একদম অন্তিম মুহূর্তে রামোনের গোলের আগপর্যন্ত মাদ্রিদকে আটকে রেখেছিলেন রোমান। আনচেলত্তি জানেন, এই জয়েও লাভ হবে না কোনো। কিন্তু মৌসুমের বাকি দুই ম্যাচ দলের কাছ থেকে এমন ইতিবাচক শরীরী ভাষা আশা করেন তিনি, ‘এত অনুপস্থিতির ধাক্কা মাঠে নামা সব খেলোয়াড়ের অসাধারণ চেষ্টায় সামলেছি আমরা। পুরো মৌসুমে এ কাজটা আরও কিছু ম্যাচে করতে পারলে, আরও ভালো একটা মৌসুম যেত।’