জানুয়ারির শেষে ৫ মাসের চুক্তিতে আল হিলাল ছেড়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে যোগ দিয়েছিলেন নেইমার। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবার ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু। সে সময় স্থগিত থাকবে ব্রাজিলিয়ান লিগ। তার আগে মোটে দুটি লিগ ম্যাচ বাকি সান্তোসের। এর মধ্যে একটিতে গতকাল রাতে খেলতে নেমেছিল নেইমারের দল। কিন্তু এ ম্যাচে হাত দিয়ে গোল করে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এ তারকা।
ব্রাজিলিয়ান সেরি আ-র ১১তম রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠ স্তাদিও আরবানো কাদেরিয়াতে বোতাফোগোর মুখোমুখি হয়েছিল সান্তোস। অনুমিতভাবে ম্যাচের বেশিরভাগ আলো ছিল নেইমারের ওপর। কিন্তু সান্তোস অধ্যায়ের শেষভাগটা রাঙানো তো দূরের কথা, উল্টো বিতর্কিত কাণ্ডের জন্ম দিয়ে বসেন নেইমার। নেইমারের লাল কার্ড দেখার ম্যাচে সান্তোস হেরে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
গতকাল ম্যাচের শুরু থেকে নেইমারকে দুয়ো দিচ্ছিলেন বোতাফোগোর সমর্থকেরা। ব্রাজিলিয়ান তারকাকেও ম্যাচে রাগান্বিত মনে হয়েছে। এমনকি প্রথমার্ধের শেষ দিকে আইর ফিরিওকে ফাউল করে একটা হলুদ কার্ডও দেখেছেন।
গোল শূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে সান্তোস। নেইমারও জোর প্রচেষ্টা চালাতে থাকেন। এর মধ্যে ৭৬ মিনিটে ঘটে সেই আলোচিত ঘটনাটি। বাঁপ্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন গনসালো এস্কোবার। সেটা নেইমারের কাছে পৌঁছানোর আগেই সামনের দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন বোতাফোগো গোলকিপার ইয়ন ভিক্তর। কিন্তু বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি। বল যায় নেইমারের শরীর বরাবর।
সান্তোস তারকার শরীরে লেগে ফিরতি বল বোতাফোগোর গোলের দিকে যাচ্ছিল। তবে সেটা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন বোতাফোগের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দাভিদ রিকার্দো। তার আগেই হুট করে হাত দিয়ে টেনে বল জালে জড়িয়ে দেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকার এ কীর্তি মনে করিয়ে দেয় মারাদোনার সেই বিখ্যাত ‘হ্যান্ড অব গড’কে!
অবশ্য গোলটা বাতিল করে দেন রেফারি। সঙ্গে নেইমারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডও দেখান। তাতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন নেইমার। তখন পর্যন্ত স্কোরলাইন ছিল ০-০। তবে ১০ মিনিট পর বড় ধাক্কা খায় সান্তোস। আর্তুর গিমারেসের গোলে পিছিয়ে পড়ে ১০ জনের সান্তোস। শেষ পর্যন্ত ওই গোলটাই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেয়।
এ হারে ২০ দলের লিগে ১১ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে নেমে গেছে সান্তোস। অবশ্য এ ১১ ম্যাচের মধ্যে মোটে ৪টি ম্যাচে খেলেছেন নেইমার। চোটের কারণে মাঠের বাইরেই ছিলেন ৭ ম্যাচ।