অন্তত ১৩ জুলাইয়ের আগে দলবদল হচ্ছে না, ১৪ আগস্টের আগে মাঠেই নামানো যাবে না। কিন্তু তাঁকে দলে নেওয়ার খবরটি আর চেপে রাখা যাচ্ছিল না। তাই গতকালই ঘোষণা এসেছে, ১৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন তরুণ ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোকে রিভার প্লেত থেকে কিনে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব রেয়াল মাদ্রিদ।
এতে ১৫ বছরের একটি খরা কাটল মাদ্রিদের। ২০১০ সালে আনহেল দি মারিয়াকে কেনার পর গত ১৫ বছরে আর কোনো আর্জেন্টাইনকে কেনেনি স্প্যানিশ পরাশক্তি।
মাস্তানতুয়োনোর সঙ্গে আপাতত ২০৩১ পর্যন্ত চুক্তি করেছে মাদ্রিদ। ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো রিলিজ ক্লজ হলেও আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের জন্য ৬ কোটি ৩২ লাখ ইউরো খরচ হচ্ছে মাদ্রিদের। এত অর্থ ব্যয় করার পরও ক্লাব বিশ্বকাপে তাঁকে পাবে না মাদ্রিদ। এই টুর্নামেন্ট রিভার প্লেটের জার্সিতেই খেলার ইচ্ছা মাস্তানতুয়োনোর।
অবশ্য খেলোয়াড় চাইলেও এখন মাদ্রিদের জার্সিতে খেলতে পারবেন না। আগামী ১৪ আগস্ট ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাঁর। ১৮ এর আগে ইউরোপিয়ান কোনো ক্লাবের পক্ষে ইউরোপের বাইরের কোনো খেলোয়াড়কে খেলানো সম্ভব না।
মাদ্রিদের প্রতি আগ্রহ মাস্তানতুয়োনো কখনো গোপন করেননি। তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য মাদ্রিদও বেশ আগ থেকেই আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু মাঝে সে আলোচনা থমকে যায়। মাদ্রিদে আর যাওয়া হচ্ছে না মাস্তানতুয়োনোর- এ খবরও ছড়িয়ে পড়ে।
জুনের শুরুতে তাঁকে কেনার জন্য আগ্রহ দেখায় সদ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা পিএসজি। আর্জেন্টিনার জার্সিতে সবচেয়ে কম বয়সে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে অভিষেকের রেকর্ডই এই মাসেই গড়েছেন চিলির বিপক্ষে। এ সময় আবার মাস্তানতুয়োনো ও মাদ্রিদকে ঘিরে আলোচনা শুরু হয়।
এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই চুক্তি হয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী রিলিজ ক্লজের ৪৫ মিলিয়ন ইউরো পাচ্ছে রিভার প্লেত। আর রিলিজ ক্লজের পুরোটাই দেওয়ায় করবাবদ স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের প্রাপ্য ১ কোটি ১৮ লাখ ইউরোও মাদ্রিদকে দিতে হয়েছে। এর বাইরে ফুটবল খেলোয়াড়দের ইউনিয়নকে দিতে হবে ১৪ লাখ ইউরো। আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন পাবে ৯ লাখ। আর্জেন্টিনার সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর অংশ ৩৬ লাখ ইউরো। এর বাইরে অন্যান্য ফি ৫ লাখ।
গত কয়েক বছরে মাদ্রিদ একের পর এক ব্রাজিলিয়ান কিশোর কিনেছে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো- দুজনের জন্যই ৪ কোটির বেশি খরচ করেছে। এই দুজন আলো ছড়ালেও ৩ কোটি ইউরোর রেইনিয়ের জেসুস এখনো মাদ্রিদের জার্সিতে একটি ম্যাচও খেলেননি,একের পর এক ক্লাবে ধারে খেলছেন। গত মৌসুমে আবার এন্দরিকের জন্য ৬ কোটি ইউরো খরচ করেছে মাদ্রিদ।
ওদিকে ২০১৪ সালে দি মারিয়া চলে যাওয়ার পর মাদ্রিদের মূল স্কোয়াডে কোনো আর্জেন্টাইনকে দেখা যায়নি। তবে এই সময়ে একাডেমির দুজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়েছে মাদ্রিদ। ২০১৭ সালে কোপা দেল রেতে দুই ম্যাচে নেমেছিলেন রাইট উইঙ্গার ফ্রান্সিসকো ফিউইলাসিয়ের। ২০২৩/২৪ মৌসুমে খেলেছেন আরেক রাইট উইঙ্গার নিকো পাস। চ্যাম্পিয়নস লিগেও গোল করেছিলেন বর্তমানে কোমোয় খেলা এই উইঙ্গার।