তাঁরা মহাতারকা। তাঁদের দেখা পেলে আকাশের চাঁদ পাওয়ার স্বাদ পান ভক্তরা। এমন সব ভক্তদের সামলে দিন কাটে লিওনেল মেসির। এবার মেসি নিজেও বুঝতে পারলেন, তাঁর সঙ্গে দেখা হলে ভক্তদের কেমন লাগে।
ইতালিয়ান কিংবদন্তি রবের্তো বাজ্জোর দেখা পেয়ে এতটাই উচ্ছ্বসিত মেসি, যেমনটা উচ্ছ্বসিত হন কোনো সাধারণ ভক্ত তাঁর প্রিয় তারকার দেখা পেয়ে।
শুধু ইতালি নয়, বিশ্ব ফুটবলেরই বড় নাম বাজ্জো। ১৯৯৩ সালের বালন দ’র জয়ীর কাঁধে চড়ে ১৯৯৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ইতালি। ভাগ্যের নিষ্ঠুরতা, সেই বাজ্জোকেই খলনায়ক বানিয়ে দেয়। ফাইনালে টাইব্রেকারে নিজের শত মিস করেন ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। আর এতেই চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল।
ইতালির জার্সিতে কিছু জিততে পারেননি। ইউভেন্তুসে খেলেছেন, মিলানের দুই ক্লাবেও কাটিয়েছেন সময়। তবু ক্যারিয়ারে মাত্র চারটি ট্রফি জিতেছেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বাদ পাননি। কিন্তু সেটা বাজ্জোর কিংবদন্তি হওয়ার পথে বাঁধা হতে পারেনি।
এ কারণেই বাজ্জোর কাছ থেকে একটা জার্সি পেয়ে মহা আনন্দিত মেসি। ইনস্টাগ্রামে একদম পাড় ভক্তের সুরে উচ্ছ্বসিত মেসি লিখেছেন, ‘কী দুর্দান্ত! রবের্তো এই বিশেষ ও মাহাত্ম্যপূর্ণ উপহারের জন্য এবং চমৎকার আড্ডার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি একজন তারকা, ফুটবলের ঐতিহাসিক কিংবদন্তী। যখনই এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করবেন, আপনাকে সাদরে বরণ করে নেব।’
এবারের মৌসুমটা ভালো যাচ্ছে না মেসির। এমএলএসে নিজেদের অর্ধেক ম্যাচে জয় পাওয়া ইন্টার মায়ামি আছে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে। ক্লাব বিশ্বকাপেও প্রথম ম্যাচে আল-আহলির বিপক্ষে ড্র করেছে। গ্রুপে তুলনামূলক শক্তিশালী দুই দলের সঙ্গে ম্যাচ এখনো বাকি মায়ামির।
আগামী বৃহস্পতিবার পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোর বিপক্ষে মাঠে নামবে মায়ামি। তার আগে বাজ্জোর সঙ্গে দেখা হওয়াটা হয়তো টনিকের কাজ করবে মেসির জন্য।